ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের গান-বাজনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।মধ্যরাতের এই ঘটনায় নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
রোববার (০৮ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামিরদী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইমরান মুন্সী কারারক্ষী হিসেবে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে চাকরি করেন। তার ছেলের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান ছিল সোমবার (০৯ জুন) দুপুরে। সেই উপলক্ষে একদিন আগে থেকেই গোপিনাথপুর ও ছোট হামিরদী মধ্যবর্তী প্রাইমারী স্কুল মাঠে বাইরে থেকে শিল্পী এনে উচ্চস্বরে নাচগানের আয়োজন করেন।
এতে প্রতিবেশী ছোট হামিরদী গ্রামের দুলাল শেখের ছেলেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। সেই জের ধরে ২ গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে টর্চ জ্বালিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে গোপীনাথপুর গ্রামবাসী দুলাল শেখের বাড়ি ভাঙচুর ও লুট করলে গ্রামে-গ্রামে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষে উভয় গ্রামের নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছোট হামিদদী গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন মাতুব্বর, আজম, সোলেমান, আরিফ, বিকাশ, দুলাল শেখ, দোলা বেগমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি দুই থেকে তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।