মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের মূল লক্ষ্য। তাই এবার বেশিরভাগ পণ্যের দামই কমানো হয়েছে। জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে ধান, চাল, গম, আলু, পাটসহ বেশকিছু নিত্যপণ্যের উৎসে কর কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। তাই এসব পণ্যের দাম কমবে। অন্যদিকে, কনভেনশন হল, নির্মাণ খাতসহ অনলাইনে কেনাকাটায় খরচ বাড়বে।
বাজেট ঘোষণা হলেই মানুষের শঙ্কা বাড়ে, কোন কোন জিনিসেরর দাম বাড়বে বা কমবে। এবার রাজস্ব বাড়ানোর পাশাপাশি ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এতে যেমন অতি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর উৎসে কর কমানো হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক ও মূসক বাড়ানো হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের শুরুতেই মূল্যস্ফীতি ছয়ের ঘরে নামিয়ে আনার লক্ষ্য সরকারের। তাই বাজেটে ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের উৎসে কর ১ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫ ভাগ করা হয়েছে। সার ও বীজের দাম কমানো হয়েছে। দাম বাড়বে না বিদ্যুতের। যা স্বস্তি দেবে সাধারণ মানুষকে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকে সহজলভ্য করতে উৎসে কর কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার কর কমানো হয়েছে।
কমার তালিকায় আছে দেশীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডায়াপার। দেশীয় ব্র্যান্ডের প্যাকেটের তরল দুধের দামও কমানো হয়েছে। তবে আমদানি করা অতি প্রয়োজনীয় শিশুদের খাবার, দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর হয়েছে।
অনলাইনে কেনাকাটা করতে গেলে এখন খরচ বাড়বে। কারণ অনলাইনে পণ্য বিক্রির ওপর কমিশনের ভ্যাট হার ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। কনভেনশন হলের খরচ বাড়ায় বিয়ে, অনুষ্ঠান ও সেমিনারের খরচ বাড়বে। বাড়ি-ঘর তৈরিতেও খরচ বাড়াবে। প্লাস্টিকের তৈরি গৃহস্থালির বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়বে।
চিকিৎসা খরচ কমানোর ইচ্ছা রয়েছে সরকারের। তাই বাজেটে হাসপাতালের বেড ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধের কাঁচামালের দাম কমানো হয়েছে। দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় মাটির ও পাতার তৈরি তৈজসপত্রের ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
উচ্চবিত্তদের জন্য এবারের বাজেটে খুব একটা সুখবর নেই। কারণ বিদেশি সবজি,ফল, কাজু বাদাম, শুকনা ফল, আপেল, নাশপাতি, কফি, চকলেট, পাস্তা, বিস্কুট, চিপস, জ্যাম-জেলি, জুস, সস, সিফুড, আমদানিকৃত মাছ ও মাংসের দাম বাড়বে। দাম বাড়বে অ্যালকোহল, সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের।
দাম বাড়ার তালিকায় আরো আছে ওটিটি সেবা, এলইডি লাইট, সব ধরনের প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্য।