শিরোনাম
গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ. লীগ নেতা বাবলু গ্রেফতার রংপুরের পীরগঞ্জে শেখ হাসিনার নাতি পিন্টু গ্রেপ্তার, পাঠানো হয়েছে কারাগারে হাড়িভাঙ্গা আমে রংপুরের অর্থনীতি সমৃদ্ধি হচ্ছে। হাড়ি ভাঙ্গা আম আমাদের রংপুরের গর্ব: জেলা প্রশাসক আমরা যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছি, এখনই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নয় : অর্থ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করলেন ইশরাক হোসেন এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বাড়লো স্বপরিবারে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি শান্ত-মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের রঙিন দিন গরমে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, হাসপাতালে স্যালাইন সংকোট, সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের ঢাকায় ফের অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম চালু, কৃতজ্ঞতা জানালেন ড. ইউনূস
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন

একজন ছাত্র হয়ে কিভাবে প্রাডো গাড়ি ব্যবহার করেন?

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ জুন, ২০২৫
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"remove":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠকসহ তিন নেতা সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী তিন নেতা হলেন- বরিশাল জেলার মুখ্য সমন্বয়ক হাসিবুল আলম (তুরান), যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম (আবিদ) ও সদস্য তাহসিন আহমেদ (রাতুল)।

রবিবার (১ জুন) রাতে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, কাউকে দেখেছি আপনারা প্রাডো গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কাউকে দেখেছি ফাইভ স্টার রেস্টুরেন্টে খাচ্ছেন।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে ভাই আপনি একজন ছাত্র হয়ে কিভাবে প্রাডো গাড়ি ব্যবহার করেন। দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি এসব কাজে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। তো আমি এ ব্যাপারেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কেন পদত্যাগ করতেছি।

আমি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে কারণে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম, সেই একই ফ্যাসিবাদ, একই বৈষম্য, একই দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, সেই একই কাজকর্ম আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখে যাচ্ছি বিধায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আজকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। এতদিন আমরা যে সম্মানটুকু অর্জন করেছি সেটুকু ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে হাসিবুল আলম বলেন, আমাদের উচিৎ ছিল আসলে গণ-অভ্যুত্থানে যে শক্তিটা ছিল সারা বাংলাদেশের ছাত্রদেরকে একত্রিত করে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠা করা। এই আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর যে অপকর্মগুলো করে গেছে তাদের প্রতিহত করা মূলত এগুলোই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

গত মাসের ১৯ তারিখ নাহিদ ইসলাম এনসিপির আহবায়ক আমাদের বরিশাল আসছিল। এনসিপি থেকে একটা ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। সেখানে আমাদের বৈষম্যবিরোধীর সদস্যরা ছিল। তাকে আটকানো হয়, তার ওপর হামলা করা হয়। এটা আমার কাছে খুবই অপ্রীতিকর লাগছে।

সেটা আমাদের বৈষম্যবিরোধী বরিশাল জেলার সদস্যরাই এ কাজটি করেছে। পরে সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা একসঙ্গে বসে আলাপ আলোচনা করতে রাজি না। কারণ তারা জানে আলাপ আলোচনা করে কোনো সমাধান হবে না। যেহেতু সমাধান করতে পারছি না, আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে, পরে আমি পদত্যাগ করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যার কারণে ওই ঘটনার পরে আমার পদত্যাগপত্র আমাদের আহবায়কের কাছে জমা দেই।

তখন পদত্যাগপত্র ছিঁড়ে ফেলে। বলে এখন পদত্যাগ করা যাবে না। তারা আশ্বাস দেয় বিষয়টা নিয়ে বসবে, আলোচনা করবে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত কিছুই হয়নি। এখনো একের পর এক ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।

আমি আমার বক্তব্যে বলেছি যে, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি এসব কাজে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। সেই একই ধারায়. একই রাজনীতি কায়েম করা এটা আসলে আমার কাম্য না।

তৌহিদুল ইসলাম আবিদ বলেন, এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি পদত্যাগ করা। কেন পদত্যাগ করেছি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে যে কারণে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সেই একই ফ্যাসিবাদ, সেই একই বৈষম্য, একই দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, সেই একই কাজকর্ম আমি বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখে যাচ্ছি বিধায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

নয়তো এতদিন সম্মানটুকু অর্জন করেছি সেটুকু ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

আবিদ আরো বলেন, আমি মানুষের জুতার বাড়ি খাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারব না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা যেসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন, আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি- আওয়ামী ফ্যাসিবাদ যেভাবে এদেশের মানুষ দূর করেছেন, খুব শিগগরিই বৈছায়া নেতাদের দূর করবেন। সিই কাতারে আমি পড়তে চাই না বিধায় আজকে এখানে আমি পদত্যাগ করতেছি।

এরপর যত ধরনের কার্যকলাপই করুক না কেন, যত দুর্নীতি অপকর্র্ম করুক না কেন, কোনোকিছুরই দায়ভার নিতে আমি প্রস্তুত নই।

অপকর্মের প্রমাণের ব্যাপারে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের গেটের সামনে ২ মিনিট দাঁড়ালে দেখবেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১০ জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা যাওয়া-আসা করে। তাদের সেখানে কাজ কী? আপনারা যদি বরিশাল সিটি করপোরেশনের গেটে দাঁড়ান, সেখানেও দেখবেন গোপনে তারা আলাপ করতেছে। কী আলাপ তাদের সেখানে?

আমার প্রশ্ন। তাদের কাজ তো টেন্ডারবাজি ছিল না। তাদের কাজ ছিল বাংলাদেশ, বরিশালের সেবা করা। তারা তো সেটা করেনি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ