শিরোনাম
ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ২৪৪ জন আক্রান্ত গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী নিহত টিসিএ রংপুরের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা রংপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হাড়িভাঙ্গা আমের আনুষ্ঠানিক বাজারজাত শুরু – মতবিনিময় সভায় নেতৃস্থানীয়দের অংশগ্রহণ গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ. লীগ নেতা বাবলু গ্রেফতার রংপুরের পীরগঞ্জে শেখ হাসিনার নাতি পিন্টু গ্রেপ্তার, পাঠানো হয়েছে কারাগারে হাড়িভাঙ্গা আমে রংপুরের অর্থনীতি সমৃদ্ধি হচ্ছে। হাড়ি ভাঙ্গা আম আমাদের রংপুরের গর্ব: জেলা প্রশাসক আমরা যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছি, এখনই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নয় : অর্থ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করলেন ইশরাক হোসেন
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ন

টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল, প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র

ডেস্ক রিপোর্ট / ২২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

টানা বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ও চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা। আর জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তাঘাট-বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢুকেছে পানি। সুরমা-কুশিয়ারার পানি ফুঁস ফুস করছে। বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও যেকোনো সময় ভয়াবহ বন্যা হতে পারে পুরো সিলেট বিভাগে।

ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের মানুষ খোঁজ নিচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ের। বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষদের মাঝে ফের ফের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জরুরি যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৮২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শনিবার (৩১ মে) টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন নীচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক, আবাসিক এলাকা, বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন ও কলেজ ভবনের নিচতলার অফিস ও ক্লাস রুম ডুবে গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। ভোগান্তিতে পড়েছেন ডাক্তার-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিপাকে পড়ছেন অফিসগামী মানুষ, সাধারণ পথচারীরা।

শনিবার বিকেল পর্যন্ত গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জের কয়েক নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার রাধানগর-গোয়াইনঘাট সড়কের কিছু স্থানে পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ওপরদিকে সারি গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট টু সালুটিকর সড়কে যান চলাচলে স্বাভাবিক রয়েছে। নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাটে পানি উঠায় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নাঞ্চল ও হাওরাঞ্চলের মানুষজন।

হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ওসমানী কলেজ ভবন। একইসঙ্গে হাসপাতালের ২৬, ২৭নং ওয়ার্ড রয়েছে ঝুঁকিতে। ছুঁই ছুঁই করছে পানি। যেকোনো সময় পানিতে ভেসে যেতে পারে নিচতলার ওয়ার্ডগুলো। হাসপাতালের ২৬-২৭নং ওয়ার্ডের কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা আতঙ্কে আছেন। যেকোনো সময় তাদের এই ওয়ার্ডে পানি উঠে ব্যাহত হতে পারে চিকিৎসা সেবা।

তখনও পানি ঢুকে পড়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও। ডুবে গেছে কয়েকটি প্রধান সড়ক।

 

 

সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, হাওয়া পাড়া, রেল স্টেশন, আখালিয়া, সুবিদবাজার, কাজলশাহ, চৌকৌদেখী, যতরপুর, চারাদিঘীরপাড়, সুবিদবাজার, সাগরদিঘীরপাড়, বাগবাড়ী, চৌকিদেখি,পাঠানঠুলা, মেজরটিলা, ইসলামপুর, শাহপরান, দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা, বঙ্গবীর রোড, রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, ইলেক্ট্রিসাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, উত্তর বাগবাড়ী এলাকা, মিরাবাজার, সুরমাতীরের মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, বিমানবন্দর, চৌকীদেখী, শাহপরাণ, কদমতলী ও সংলগ্ন এলাকায়, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর

হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ওসমানী কলেজ ভবন। একইসঙ্গে হাসপাতালের ২৬, ২৭নং ওয়ার্ড রয়েছে ঝুঁকিতে। ছুঁই ছুঁই করছে পানি। যেকোনো সময় পানিতে ভেসে যেতে পারে নিচতলার ওয়ার্ডগুলো। হাসপাতালের ২৬-২৭নং ওয়ার্ডের কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা আতঙ্কে আছেন। যেকোনো সময় তাদের এই ওয়ার্ডে পানি উঠে ব্যাহত হতে পারে চিকিৎসা সেবা। এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।

তখনও পানি ঢুকে পড়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও। ডুবে গেছে কয়েকটি প্রধান সড়ক।

 

 

সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, হাওয়া পাড়া, রেল স্টেশন, আখালিয়া, সুবিদবাজার, কাজলশাহ, চৌকৌদেখী, যতরপুর, চারাদিঘীরপাড়, সুবিদবাজার, সাগরদিঘীরপাড়, বাগবাড়ী, চৌকিদেখি,পাঠানঠুলা, মেজরটিলা, ইসলামপুর, শাহপরান, দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা, বঙ্গবীর রোড, রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, ইলেক্ট্রিসাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, উত্তর বাগবাড়ী এলাকা, মিরাবাজার, সুরমাতীরের মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, বিমানবন্দর, চৌকীদেখী, শাহপরাণ, কদমতলী ও সংলগ্ন এলাকায়, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।

থেমে-থেমে বৃষ্টি থাকার কারণে ভিজে চলাচল করছেন লোকজন।

কেউ-কেউ জমে থাকা ময়লাযুক্ত পানি মাড়িয়ে নিজের গন্তব্যে যাচ্ছেন। এসব এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটের ভেতরে পানিও রয়েছে। নগরের নাইওরপুল ও সোবাহানীঘাট এলাকার বিভিন্ন পণ্যের দোকানে জমে থাকা পানি বালতি দিয়ে সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। তবে রাস্তাঘাটে জমে থাকা পানি ও ময়লা সরাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের দেখা যায়নি। রাস্তায় কোথাও-কোথাও ময়লার স্তূপ জমে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা ড্রেনের মুখের ময়লা সরিয়ে পানি চলাচল স্বাভাবিক করছেন। এছাড়াও নগরের আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, দাড়িয়াপাড়া, চৌহাট্টা, শিবগঞ্জ, শাহপারণ গেইট, বঙ্গবীর রোড় এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার কানাইঘাটে সুরমার পানি বেড়ে হয়েছে ১১ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার, বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেমি। সিলেটে পয়েন্টে ৮ দশমিক ৯৮ সেমি, বিপৎসীমা ১০.৮ সেমি। কুশিয়ারা জকিগঞ্জের অমলসিদে ১২ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার, বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেমি। শেওলা পয়েন্টে ১০ দশমিক ১৮ সেমি, বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেমি। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮ দশমিক ২৪ সেমি, বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেমি। শেরপুর পয়েন্টে ৭ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার, বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেমি।

এছাড়া পাহাড়ি নদী কানাইঘাটের লোভাছড়ার পানি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ০৩ সেমি, বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেমি। জৈন্তাপুরের সারি নদী ১১ দশমিক ২৮ সেমি, বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেমি। জাফলং ডাউকি ১০ দশমিক ৫৮ সেমি, বিপৎসীমা ১৩ সেমি। গোয়াইনঘাট সারি গোয়াইন ১১ দশমিক ২৮ সেমি, বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮২ সেমি এবং একই বিপৎসীমায় জেলার কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর ধলাই নদীর পানি বেড়ে ৯ দশমিক ১০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আর শনিবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন কালবেলাকে বলেন, ‘আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ সিলেট অঞ্চলের আকাশে মেঘ রয়েছে এবং বৃষ্টি হচ্ছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ