গত কিছুদিনে ফারুকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ কিছু অভিযোগ উঠেছে। গত বিপিএলে বিতর্কিত মালিকদের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা দেওয়া, বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য করতে না পার- নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়েছিল তাকে। এদিকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আগামী বোর্ড নির্বাচনের আগে তিন মাসের জন্য বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নিতে পারেন জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডে থাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তাঁদের পরিবর্তে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এবং ক্রিকেট কোচ নাজমূল আবেদীনকে এনএসসির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরিচালকদের ভোটে নিয়ম মেনেই বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক।
কিন্তু নয় মাস যেতেই পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হতে পারে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে।
সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ও প্রথম আলো জানিয়েছে গতকাল বুধবার রাতে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। গণমাধ্যমে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘উপদেষ্টা বলেছেন, বোর্ডের শীর্ষ পদে তিনি পরিবর্তন চান। আমি এখনো কিছু ভাবিনি। মাত্রই গতকাল রাতের ব্যাপার… কিছুটা সময় নিতে চাই।’
ফারুক আহমেদ পদত্যাগ না করলে অবশ্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোনো সুযোগ নেই তাঁকে পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করার। কারণ বোর্ড পরিচালক হয়ে এরপর অন্য পরিচালকদের ভোটে গঠনতন্ত্র মেনেই সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ তাকে সরিয়ে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না।
সরকারের হস্তক্ষেপের প্রমাণ মিললে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। অতীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে এমন নজির আছে।