রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ১৬ হাজার মামলা প্রত্যাহারে সরকারকে তালিকা দিয়েছে বিএনপি। একই ধরনের ১ হাজার ২০০ মামলার তালিকা দিয়েছে জামায়াতও। এই মামলাগুলো প্রত্যাহারে সরকার বিলম্ব করছে বলে অভিযোগ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয় বলে দাবি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতাও চেয়ে বলা হয়েছে, দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রেরিত সকল মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়।’ এতে আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় মিলিত হচ্ছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এসব সভায় মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে প্রেরিত তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত ১৬টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম চলমান।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২৫ সালের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গত ২৭ এপ্রিল ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা দিয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব মামলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইতিমধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল দুটোর পাঠানো তালিকার সঙ্গে মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র (এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট) না পাঠানোয় অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গত ২০ মে ৪৪টি মামলা প্রত্যাহার করতে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে তালিকা দিয়েছে। এসব মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।