শিরোনাম
এনসিপির নেতৃত্বেই আগামী সরকার, পাবে ৩০০ আসন: নাসির উদ্দিনএনসিপির নেতৃত্বেই আগামী সরকার, পাবে ৩০০ আসন: নাসির উদ্দিন আমরা আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র ইরানের পাশে আছি : পাকিস্তান বেরোবি শিক্ষকের জামিন শুনানি পেছাল শেখ হাসিনা ও সাবেক ৩ ইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা গাইবান্ধায় বজ্রাঘাতে মারা গেছে তিনটি গরু শিক্ষক নিবন্ধনে অংশ নেওয়াদের সনদ দিতে আন্দোলন, জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড বাংলাদেশে ভারতীয় রিপাবলিক বাংলা টিভির প্রচারণা বন্ধে রুল আগামী নির্বাচন হবে পুলিশ বাহিনীর কলঙ্ক মোছার নির্বাচন’ বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা জাপানের নতুন বোঝা বইতে রাজি নই, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে স্থায়ী হতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

মিঠাপুকুরে সরকারি কবরস্থানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: জনমনে ক্ষোভ

মাইনুল ইসলাম, মিঠাপুকুরপ্রতিনিধি : / ৩১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

 

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় সরকারি কবরস্থান নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে ব্যক্তিগত কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের কাবিটা (টিআর) প্রকল্পের অধীনে সরকারি কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণের জন্য সম্প্রতি ২ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে সরকারি কবরস্থানে কোনো প্রাচীর নির্মাণ করা হয়নি। এর পরিবর্তে, মিঠাপুকুর উপজেলার ৭ নং লতিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মোছাঃ লাভলী বেগম (আওয়ামীপন্থী) তার বাড়ির পাশে অবস্থিত একটি পারিবারিক কবরস্থানে নবনির্মিত একটি ছোট প্রাচীর তৈরি করেছেন।

এবিষয়ে স্থানীয় আবুল হোসেন নামের একজন এই বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি মাননীয় সচিব, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়, ঢাকা; জেলা প্রশাসক, রংপুর; এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, মিঠাপুকুর, রংপুরকে প্রদান করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি কবরস্থানের জন্য টাকা এলো, আর সেই টাকা দিয়ে উনি নিজের পারিবারিক কবরস্থানের প্রাচীর করলেন! এটা তো স্পষ্ট দুর্নীতি।” তিনি আরও জানান, যে প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয়েছে সেটি তৈরি করতে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে, যেখানে প্রায় ৩ হাজার ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করেছেন তিনি।

লতিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বরত প্রশাসক খন্দকার মোঃ মাহবুব হোসেন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন এবং কাজ না করলে লাভলী বেগম বাকি টাকা পাবেন না। তিনি বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) মনিরুজ্জামান বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং তাদের জানা ছিল না যে এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন কবরস্থান। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।

সরকারি অর্থের এই ধরনের অপব্যবহারের ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। তারা আশা করছেন, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধান হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। একইসাথে, সরকারি প্রকল্পের অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ