মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে এ রায় দেন। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগে আজহারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
গত ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, এটিএম আজহারের মুক্তি না হওয়ায় তারা বিস্মিত এবং ব্যথিত।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সারসংক্ষেপ জমা দিলে আপিল শুনানি হয়।
তিনি বলেন, ‘আইনজীবী ও কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা থাকতে পারে। কিন্তু সারা দেশে আমাদের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মী যারা ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা ব্যথিত। তবে আমরা হতাশ নই। কারণ আমরা মনে করি আদালত সুবিচার করবেন। আমরা ধৈর্য ধরব। আমরা আদালতের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে অন্যায়ভাবে আটক ছিল, অন্যায় বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছিল প্রায় সকলেই মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের মজলুম নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। তা আইনজীবীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও আট মাস পার হয়েছে।’