শিরোনাম
লালমনিরহাটে মহানবীকে কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাপ-ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ মির্জা ফখরুলসহ চীন সফরে গেল বিএনপির প্রতিনিধি দল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়নি, মার্কিন স্বীকারোক্তি রামপুরা গ্রিডে ত্রুটি, বিদ্যুৎবিহীন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা স্থানীয় সংবাদ সংগ্রহে বিশেষ অবদানের জন্য বে-সরকারি সংস্থা ইএসডিও পক্ষ থেকে সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক মোবারক  বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একটি গাছের দুটি ফল: ফয়জুল করীম হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট কুড়িগ্রামে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় পথচারীর মৃত্যু! প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছর মেয়াদকাল নিয়ে বিএনপিসহ তিন দলের ভিন্নমত ভারতকে ধর্ষণ ও সন্ত্রাস কবলিত দেশ আখ্যা দিয়ে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল আমেরিকা
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভের ডাক, দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট / ২০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবারও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। কর্মচারীদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সচিবালয় অভিমুখে ‘ফ্যাসিবাদ উৎখাত যাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই মঞ্চ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সচিবালয় নিরাপত্তা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এই অধ্যাদেশ জারির ফলে এখন থেকে চার ধরনের অপরাধের দায়ে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু নোটিশ দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। এ কারণে শুরু থেকেই আইনটি সংশোধনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু তাঁদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে গত রোববার রাতে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে গতকাল বেলা সোয়া ১১টার পর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মচারীরা। পরে মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তর ঘেরাও করতে যান তাঁরা। একপর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দপ্তর যে ভবনে, সেই ভবনের সামনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করার ঘোষণা দেন কর্মচারীরা। পরে সেখান থেকে সরে গিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় সচিবালয়ে প্রবেশের সব ফটক বন্ধ করে দেন কর্মচারীরা। আধা ঘণ্টা পর এসব গেট খুলে দেওয়া হয়।

এদিকে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সংগঠনকে নিয়ে গতকাল নতুন ঐক্য ফোরাম গঠন করা হয়েছে। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে ঐক্য ফোরামের নেতারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, কর্মসূচি ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই কালো আইন বা অধ্যাদেশ বাতিল সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না করা হবে।

উপদেষ্টা পরিষদ এগিয়ে না এলে এ আন্দোলন সারা দেশে ১৮ লাখ কর্মচারীর মাঝে ছড়িয়ে পড়বে। এই আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে চলমান কর্মসূচি সমাপ্ত হবে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের বাদামতলায় সমবেত হতে কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বাদিউল জানান, গতকাল সোমবার আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় বৈঠকটি হয়নি।

ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আরেক অংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম জানান, সারা দেশের সব সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে কর্মচারী নেতারা অভিযোগ করেন, যেসব কর্মচারী আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন, অনেক সচিব তাঁদের ডেকে নিয়ে হুমকি দিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ