২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে ভর্তিতে পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে ভর্তির ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সমসাময়িক কারিগরি খাতের নানা বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ। এতে জানানো হয়, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে নেওয়া হবে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা। এর মধ্যে ৭০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষা হবে আর ৩০ নম্বর থাকবে শিক্ষার্থীর জিপিএর ওপর।
ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুধু সরকারিগুলোর জন্য ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছি কারণ বেসরকারিগুলো ছাত্র পায় না। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো বাণিজ্যিক, ব্যক্তি উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল যেটা কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে পারি নি। আমার বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আমি মৌখিকভাবে বলেছি প্রয়োজনে লিখিতভাবে বলব, তিনি যেন এটা ভেরিফাই করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির বিষয়ে কথা বলেন সচিব। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি ধাপে ধাপে পূরণ করা হচ্ছে।
ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এটাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। আপনি ছাত্রদের বলেন তারা যেন এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা না করে। আমরা তাদের জন্য যা করার করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। এসময় দাবি পূরণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তারা। পরবর্তীতে আর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে না বলেও জানান।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ল্যাবে আধুনিক মেশিনারিজ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।