শিরোনাম
নিজের নামে স্মার্টফোন আনছেন ট্রাম্প রংপুরে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু, প্রস্তুত আইসোলেশন ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ২৪৪ জন আক্রান্ত গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী নিহত টিসিএ রংপুরের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা রংপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হাড়িভাঙ্গা আমের আনুষ্ঠানিক বাজারজাত শুরু – মতবিনিময় সভায় নেতৃস্থানীয়দের অংশগ্রহণ গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ. লীগ নেতা বাবলু গ্রেফতার রংপুরের পীরগঞ্জে শেখ হাসিনার নাতি পিন্টু গ্রেপ্তার, পাঠানো হয়েছে কারাগারে হাড়িভাঙ্গা আমে রংপুরের অর্থনীতি সমৃদ্ধি হচ্ছে। হাড়ি ভাঙ্গা আম আমাদের রংপুরের গর্ব: জেলা প্রশাসক
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন

১০ দফা দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ

ডেস্ক রিপোর্ট / ২০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

কর্মবিরতির আওতায় জ্বালানি তেলের উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ রয়েছে। তবে হজ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ চালু থাকবে।

বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ ১০ দফা দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছে। আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে, যা চলবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।

গত ১১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদ ঘোষণা দিয়েছিল, ২৪ মের মধ্যে দাবি না মানা হলে ২৫ মে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করা হবে। সেই ঘোষণার অংশ হিসেবেই আজ সকাল ছয়টা থেকে সারা দেশের সব পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।

পরিষদের ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মবিরতির আওতায় জ্বালানি তেলের উত্তোলন, পরিবহণ ও বিপণন বন্ধ রয়েছে। তবে হজ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ চালু থাকবে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস এবং যে-সব পেট্রলপাম্প পুলিশের গাড়ির জ্বালানি সরবরাহের চুক্তিতে আছে, কেবল সেগুলোতে সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

পরিষদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:

*তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করা।

*সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল আগের মতো বহাল রাখা।

*পাম্প-সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নে নির্ধারিত পে-অর্ডার জমা দিলেই তা নবায়ন বিবেচনা করা।

*বিএসটিআই শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিটের স্ট্যাম্পিং ও পরিমাপ যাচাই করবে। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি ও নিবন্ধন বাতিল করা।

*পরিবেশ, কলকারখানা, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্সের শর্ত বাতিল করা।

*অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করা এবং ডিলারশিপ ছাড়া তেল বিক্রি বন্ধ করা।

*ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যু সহজ করা।

*রাস্তায় কাগজপত্র পরীক্ষা না করে ডিপো গেটে তা নিশ্চিত করা।

*সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা পারমিট ইস্যু করা।

পরিষদের নেতারা বলছেন, লাইসেন্স, বিদ্যুৎ, স্টাফ বেতনসহ সব খরচ বেড়ে গেছে, অথচ কমিশন কমে গেছে। নতুনভাবে পরিবেশ, ফায়ার, বিএসটিআই, কলকারখানা ও বিআরসি লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যার ফি অনেক বেশি। ডিপো না থাকা জেলায় তেল পরিবহনের জন্য আন্তঃজেলা পারমিট না থাকায় ট্যাংকলরি চালকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। রাস্তায় কাগজপত্র পরীক্ষা বন্ধ করে ডিপোতে তা নিশ্চিত করার সরকারি সিদ্ধান্তও কার্যকর হচ্ছে না। বিএসটিআই অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে নানা যন্ত্রাংশের জন্য। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ইজারার হার হঠাৎ ১৫০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

সব মিলিয়ে এই বাড়তি খরচের কারণে ব্যবসা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই পরিষদ দ্রুত যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ