সংস্কারের আগে নির্বাচন করা হলে তাতে জনগণের আশা পূরণ হবে না বলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তুলে ধরেছে জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামের আমির শফিকুর রহমান বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন।
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে আসেন তিনি।
হঠাৎ পাল্টে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুহাম্মদ ইউনূস।
বিএনপির পর শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জামায়াতের দুই নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, যা শেষ হয় রাত সাড়ে ৯টার দিকে।
বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে জামায়াতের নায়েবে আমির তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দেশের সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলাপ করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে এসেছি।’’
এর আগে রাত পৌনে ৮টায় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
জামায়াতের পর রাতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বসবেন ইউনূস।
ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য, বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের মতভিন্নতা; সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগের ভাবনা’– সব কিছু মিলিয়ে রাজনীতিতে তৈরি হওয়া অস্থিরতার মধ্যে এসব বৈঠক করছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।