শিরোনাম
চিরিরবন্দর এনসিপির সমন্বয়ক কমিটিতে যুবলীগ নেতা ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর হুঁশিয়ারি ইয়েমেনি যোদ্ধাদের মেধাবী সেই ছাত্রের পাশে দাড়ালেন কালীগন্জের ইউএনও আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল; শরীয়তপুরের সেই ডিসিকে করা হলো ওএসডি; জানা গেছে নারীর পরিচয় দেশে করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু! আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছি, চাঁদাবাজও তাড়াব : ফয়জুল করীম সম্ভাব্য তিন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন খামেনি রংপুর শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিখোঁজ দুই কিশোরীকে উদ্ধারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম প্রয়োজনে বিএনপি তিন হাজার আসনেও প্রার্থী দিতে পারবে: হেলেন জেরিন খান
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন

শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় আহত যুবলীগ নেতা পেলেন জুলাই যোদ্ধা অনুদান

ডেস্ক নিউজ : / ৩৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে আহত এক যুবলীগ নেতা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে অনুদান পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ মে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে ‘সি ক্যাটাগরিতে’ এক লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন তিনি।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মিনারুল ইসলাম। তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে খুলনার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় কার্যালয় থেকে পালাতে গিয়ে আহত হন মিনারুল। তার চেক প্রাপ্তির ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আহত জুলাই যোদ্ধা সি ক্যাটাগরিতে খুলনায় ৬৩ জনের নামে চেক এসেছে। তাদের মধ্যে ৫০ জন এক লাখ টাকার চেক নিয়েছেন। গত ১৪ মে খুলনার জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের হাত থেকে চেক গ্রহণ করেন মিনারুল।

 

খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মণ্ডল জানান, উপজেলা পর্যায়ে আবেদন করলে পুলিশ, জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র প্রতিনিধি, হাসপাতালসহ বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে জেলা কমিটির সভায় আরেক দফা যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মিনারুল নামের ব্যক্তি সরাসরি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রণালয় থেকে তার আবেদন যাচাই-বাছাই করে গেজেট প্রকাশ করে চেক খুলনায় পাঠিয়েছে। এজন্য তার আবেদনের বিষয়ে খুলনায় কোনো তথ্য নেই।

তিনি বলেন, কেউ যদি তার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়, তাহলে সেটি যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। তখন গেজেট থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে।

তেরখাদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এফ এম মফিজুর রহমান বলেন, ‘তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মিনারুল ইসলাম। ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। জুলাই আন্দোলনের সময় সে মধুপুরের বাড়িতেই ছিল। ৪ আগস্ট খুলনায় দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশে যোগ দিতে যায়। সেখানে পালাতে গিয়ে টিনের চালে ঝাপ দিলে পায়ে কী সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছিলাম।’

গতবছর ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছিলেন খুলনা জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল। আত্মগোপনে থাকা জামালের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘৪ আগস্ট মিনারুল আমাদের সঙ্গেই ছিল। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে সে কার্যালয় থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই।’

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে মিনারুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘জরুরি মিটিংয়ে আছি, ১০ মিনিট পরে ফোন ব্যাক করছি।’ এরপর অসংখ্যবার তাকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি। একপর্যায়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ