ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার প্রতিবাদ, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (১৮ মে ) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়, শহীদ আবু সাইদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয় এবং মিছিল শেষে সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বেরোবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এসময় পাঁচ দিন হয়ে গেল খুনি অধরা রয়ে গেল,ঘটনা কি ঘটেছে পুলিশ নাকি জানে না, সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, এক দফা এক দাবি ঢাবি ভিসির পদত্যাগ, ছাত্রদলের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাশেদ মন্ডল বলেন, ঢাবি ভিসির উদ্ধতপূর্ণ আচরণ বলে দেয় এ হত্যার পেছনে ঢাবি ভিসিও জড়িত থাকতে পারে। এসময় তিনি ঢাবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, তিনজন নাম মাত্র আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিন্তু এ হত্যার পেছনে প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত তা এখনো উদঘাটন করা হয়নি। তাই দ্রুত সাম্য হত্যার রহস্য ও বিচার দাবি করেন তিনি।
এ মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেরোবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, পাঁচদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ বলছে আমরা এ হত্যার কুল কিনারা খুঁজে পাছি না । এতে বোঝা যায় ঢাবি প্রশাসন ফ্যাসিস্টদের নীলনকশা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় তিনি আরও বলেন,যখন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে তখনও আমরা দেখতে পাই কিছু নামধারী সমন্বয়ক ও গুপ্ত সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে যার মাধ্যমে বোঝা যায় এ হত্যা কান্ডে কারা জড়িত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।