শিরোনাম
‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের টয়লেটে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, রেলের কর্মচারী আটক মব সন্ত্রাসের জননী শেখ হাসিনা: বিএনপি নেতা ফারুক বাংলাদেশে পাচারের জন্যেই ভারত ফেনসিডিল তৈরি করে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু আমি নির্দোষ কোনো অপরাধ করিনি: পলক সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার এক ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না : বিএনপি দেবীগঞ্জে জাটকা ইলিশ বিক্রির দায়ে জরিমানা, জব্দকৃত মাছ শিশু সদনে বিতরণ নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় চীন: মির্জা ফখরুল
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০৫:০৪ অপরাহ্ন

উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, বরখাস্ত হলেন কুড়িগ্রামের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা

ডেস্ক নিউজ : / ৫৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র রায় পোদ্দারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের নাম মনিবুল হক বসুনিয়া। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের আবুল কাশেম সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

শনিবার (১৭ মে) রাতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পত্র মোতাবেক শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য পোস্ট করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এর ৭ ও ১০ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মনিবুল ইসলাম বসুনিয়া বলেন, আড়াই-তিন মাস আগে চট্টগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষকদের একটা প্রোগ্রামে শিক্ষকরা দশম গ্রেডের দাবি করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের হেয়প্রতিপন্ন করে বলেছিলেন—না পোষালে চাকরি ছেড়ে চলে যান। এর প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষকরা তাদের ভাষায় প্রতিবাদ করেছে, আমি আমার ভাষায় প্রতিবাদ করেছিলাম।

ফেসবুকে পোস্টের বিষয়ে এ শিক্ষক বলেন, আমি যা পোস্ট করেছিলাম তার সারমর্ম হলো, আপনি (উপদেষ্টা) এভাবে শিক্ষকদের অবমাননা করে কথা বলতে পারেন না। আপনি ডাক্তার মানুষ, নিজের পেশায় ফিরে যান। আমাদের বলতেছেন চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় যেতে, আপনি আপনার পেশায় ফিরে যান। সেটা ছিল ওই সময়ের কথা। সেটার জন্য এখন কেন আমাকে বরখাস্ত করা হলো সেটা আমার বোধগম্য নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ