রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেছেন, পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষকের জন্য অন্তত একটি পাবলিকেশনের কাজ করা বাধ্যতামূলক করা হবে। পাশাপাশি সব শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট রাখতে হবে। যেসব শিক্ষক এ কাজে কোনো প্রকার বাধার সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৪ এর ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত “আ শর্ট ইন্সট্রাকশনাল সেশন অন লিটারেচার রিভিউ” শীর্ষক এক সেমিনারে এ সব কথা বলেন বেরোবি উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, কম্পিউটারের এই যুগে গবেষণার কাজ আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যাপ্ত কম্পিউটার রয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগ করেছে। শিক্ষার্থীরা এই সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে গবেষণার কাজগুলো করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কাজ করছে। এখানে জিমন্যাশিয়াম, সুইমিং পুল স্থাপনসহ আরও ফ্যাকাল্টি বৃদ্ধি করে মাল্টিডিসিপ্লিনারি গবেষণার জন্য সেন্টার অব এক্সিলেন্স গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে আমাদের।
ড. শওকাত আলী বলেন, ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রমে উদ্ধুদ্ধ করতে ইন্সটিটিউশনাল ই-মেইল এর ব্যবস্থা করো হয়েছে। এতে করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে গিয়ে কোথাও বাধাগ্রস্ত হবেন না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ সাপোর্ট অফিস এর সহায়তায় আয়োজিত উক্ত সেশানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ দপ্তরের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক। আলোচক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা জয়ন্ত দাস ঋত্বিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।