পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এক মুদির দোকানে পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ছুরিকাঘাতে দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান ও তার দুই ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামলার ঘটনায় আহত মেহেদী হাসানের বাবা মো. সফিকুল ইসলাম প্রধান গত ৪ মে দেবীগঞ্জ থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- দেবীগঞ্জ পৌরসভার কমাত পাড়া এলাকার মো. মাচান আলী (৪৫), মো. মারুফ ইসলাম (২২), আবু বক্কর সিদ্দিক (৪২), মো. ময়নুল ইসলাম (৩০) ও মো. আমিনুর ইসলাম (৪০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সফিকুল ইসলামের ভাতিজা নূর নেওয়াজের মুদির দোকানে হামলা চালানো হয়। ডিম বিক্রিকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন প্রথমে মারুফ ইসলাম দোকানে গিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে বাকি অভিযুক্তরাও এসে বাঁশের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে মেহেদী হাসান, তার ভাই নুর নেওয়াজ এবং সৌরভ গুরুতর আহত হন।
আহতদের মধ্যে মেহেদী হাসানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যদিকে তার ভাই নূর নেওয়াজ ও সৌরভ ইসলাম দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রদল নেতা ও তার পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পাঁচদিন পার হলেও এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।