নিজের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের বিষয়ে দুদককে তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এমন অনুরোধ করার বিষয়টি জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
উপদেষ্টার পেজে লেখা হয়েছে, ‘সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেমের বিষয়ে দুদককে অনুসন্ধান করার অনুরোধ জানিয়েছি। গুঞ্জন, গুজব নাকি সত্য তা দুদকের অনুসন্ধানেই বের হয়ে আসবে। অনেকগুলো ইনফরমেশন ভুল ভাবে গিয়েছে ইতিমধ্যে। পদত্যাগকে অপসারণ হিসেবে ছড়ানো হয়েছে। কোনো অনুসন্ধানী তথ্য, ব্যক্তিসাক্ষ্য ছাড়াই অনুমান নির্ভর মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছে।’
মোয়াজ্জেমের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘এই নিউজ করা হাউসগুলোর কয়েকটায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, এই লেখাটাও বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং হুবহু নিউজ করতে চাপ দেওয়া হয়েছে। ফ্যাক্টের ভিত্তিতে কথা হলে সমস্যা ছিল না। অনেকগুলো তথ্য-উপাত্তহীন মনগড়া কথা বারবার বলে স্টাবলিশ করার চেষ্টাটা দৃষ্টিকটু লেগেছে। দুদকের অনুসন্ধানে সত্য বের হয়ে আসুক এটাই প্রত্যাশা।’
এর আগে গত ২১ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একই দিন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
অবশ্য পরদিন সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদত্যাগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই প্রজ্ঞাপন জারির আগে ও পরে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানাজনে নানা অভিযোগ তুলেছেন।
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উপদেষ্টা হওয়ার পর নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু মোয়াজ্জেমকে একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) হিসেবে বেছে নেন তিনি।
এদিকে মোয়াজ্জেম হোসেন দাবি করেছেন, রোজার ঈদের আগে গত ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি চাকরি ছাড়ার আবেদন করেছিলেন তিনি। গত ৮ এপ্রিল উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর অব্যাহতির আবেদনে সম্মতি দেন।