বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিধি না থাকার কারণে জনগণ এখন সাফার করছে। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনটা দিন। আমরা দেখি আপনাদের স্বদিচ্ছা ও সক্ষমতা কতটুকু। যদি এতে জনগণ সন্তুষ্ট হয়, তাহলে জনগণ পরবর্তী খেদমতের জন্য আপনাদের পূর্ণ সমর্থন করবে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, নারী অধিকার সংস্কারের নামে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। সেই রিপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় কোরআন ও সুন্নাহর সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশ জমা হয়েছে। কিন্তু যারা এই সুপারিশ পেশ করেছেন তারা এদেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা যে জায়গায় সমাজকে নিতে চায় সেটা হতে দেওয়া হবে না। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই এটি বাতিলের আহ্বান জানানো হবে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য রমজানে কিছু সহনীয় ছিল। সে সময় মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে ছিল। কিন্তু এখন আবার উত্তপ্ত হচ্ছে। আমরা সরকারকে বলবো সেদিকে নজর দেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা সাড়ে ১৫ বছর এবং শেষ প্রান্তে এসে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে তাদের কাউকে আইনের বাইরে রাখবেন না। তাদের বিচার নিশ্চিত করুন। বিগত সরকার সাড়ে ১৫ বছরে যে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে, তার পর্যাপ্ত ন্যায়ানুগ সংস্কার করুন। কালো টাকা এবং পেশিশক্তি থেকে বের হয়ে আসার জন্য সমস্ত মানুষের ভোট এবং সঠিক প্রতিনিধিত্ব সংসদে নিশ্চিত করার জন্য পিআর সিস্টেমে ভোট নিশ্চিত করতে হবে।
মহানগর জামায়েতে ইসলামীর আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মো. রমজান আলী, নেত্রকোণা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক সাদেক আহমেদ, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার, সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতা উত্তম ভট্টাচার্যসহ অন্যরা।
সম্মেলন সকাল ৯টায় শুরু হলেও ৭টা থেকে জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিলে মিছিলে সার্কিট হাউস মাঠে জড়ো হন। ১১টার কয়েক মিনিট আগে মঞ্চে উঠে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানান জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এসময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো মাঠ। সাড়ে ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে এমন বড় পরিসরে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে সবাই ছিল উচ্ছসিত।