লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতি আক্তারের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ভোটমারী বাজারে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় জান্নাতি হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন এবং সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পুলিশ কর্মকর্তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন মাদাতী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুন্নবী হিরু, ভোটমারী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, মদাতী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আনারুল কবির বাদশা, মদাতী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আলহাজ রোকনুজ্জামান বাবু, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান মফিজুল, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোমছেদুল খান বুলবুল, মদাতী ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক নুরহুসাইন বাবু এবং ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুল ইসলাম।
তারা সকলেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি তোলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শৈলমারী চরের বাসিন্দা ফজলুল হকের মেয়ে ও ভোটমারী এস সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতি আক্তারকে বাড়িতে একা পেয়ে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী তিস্তা চরের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা জান্নাতির হাত-পা ভেঙে দেয় এবং মুখে বালু ভরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতোমধ্যে প্রতিবেশী বেলাল হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।