পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চায় উত্তরের মানুষ। দেশীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ‘তিস্তা বন্ড’ চালুর দাবি এ জনপদের মানুষের।
বানের জলে ভেসে যাওয়া, ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া, ফসলহানি, শুকনোয় পানির জন্য হাহাকারসহ সব সংগ্রামের সাক্ষি তিস্তাপাড়ের মানুষ।
তিস্তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় বছরে ক্ষতি হয় এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ। পানি আটকে রেখে হঠাৎ ছেড়ে দেয়ায় এই অঞ্চলে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এই অমানবিক আচরণ চলছে বছরের পর বছর।
তিস্তাকে নিয়ে একটি বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলছে নানা আলোচনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসীদের অংশগ্রহণে কাটবে সংকট। বন্ড চালু করে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে সহজ। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়ের মাধ্যমে উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে বন্ডে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ হবে।
ঋণে জর্জরিত দেশকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ইস্যুতে নতুন করে বৈদেশিক ঋণের ফাঁদে ফেলতে সম্মত নন উত্তরের মানুষ। জাতীয় বাজেটে তিস্তার জন্য বিশেষ বরাদ্দ, সারচার্জ নির্ধারণ, স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী নদী ব্যবস্থাপনার অর্থ তিস্তা তহবিলে প্রদান, তিস্তা অববাহিকার পাঁচ জেলায় আদায়কৃত রাজস্ব তিস্তা মহাপরিকল্পনায় ব্যবহারের দাবি তাদের। দেশীয় অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পুরো বিশ্বে বাংলাদেশের সক্ষমতা ফুটে উঠবে বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান তিস্তা ফোরাম।
সূএ : বাংলাভিশন টিভি অনলাইন