রাজধানীর লালবাগ এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই রেস্টুরেন্টের দুই ম্যানেজারসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- খোকার জামাই বছির আহমেদ, ম্যানেজার লামিয়া ও ম্যানেজার জিসান। সোমবার (২৪ মার্চ) ইফতারের পর এই ঘটনা ঘটে।
রেস্টুরেন্টের মালিক আব্দুল গণি খোকা জানান, লালবাগ ওরিয়েন্ট ক্লাবের পাশে একটি রেস্টুরেন্ট ( সাবেক আজাদ অফিস মাঠ) সিটি করপোরেশনের ইজারাদারের কাছ থেকে তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন। সেটি গত পাঁচ বছর ধরে চালাচ্ছেন। সন্ধ্যার পর ২০-৩০ জন লোক হঠাৎ করে রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকেন এবং তাকে খোঁজ করতে থাকেন। তাকে না পেয়ে তার জামাইসহ দুই ম্যানেজারকে মারধর করেন তারা। এ সময় রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে আসা এক যাত্রী সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করলে তাকেও মারধর করা হয়। সব মিলিয়ে ঘটনায় সাত থেকে আটজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
খোকা অভিযোগ করেছেন, এ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাহিদা পাপন পাঠান। পাপন রেস্টুরেন্টটি সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার কাছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তাকে তিনি দেখাতে পারেননি। কোনো প্রকার ডকুমেন্ট ছাড়াই তার রেস্টুরেন্টে দখলচেষ্টায় হামলা চালানো হয়।
তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় তারা গিয়েছিলেন। কিন্তু থানা পুলিশ তার অভিযোগ নিচ্ছে না। তারা তাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এ ঘটনা তদন্তের পর তারা মামলা নেবে।
এ বিষয়ে লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান ঢাকা মেইলকে বলেন, এমন ঘটনা জানা নেই। আমি আজ সারাদিন থানায় আছি। কেউ এমন অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসেনি।
এদিকে খোকার ছেলে রাফসান জানি ঢাকা মেইলকে বলেন, রেস্টুরেন্টে কাউন্সিলর মানিকের শাশুড়ির নামে ছিল। সেটি আমরা তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলাম। গত পাঁচ বছরের লিজে ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি লিজের তারিখ শেষ হয়। সিটি করপোরেশন কোনো চিঠি বা নোটিশও দেয়নি। ফলে আমরা কোনো কিছু জানি না। তিনি দাবি করেছেন এই রেস্টুরেন্ট তাকে লিজ দেওয়া হয়েছে। উনি যে নিয়েছেন কোনো প্রমাণও দেখাতে পারেননি। তিনি নিয়ে থাকলে আমরা ছেড়ে দেব। নোটিশ দিলেই আমরা ছেড়ে দেব।