শিরোনাম
দেবীগঞ্জে ট্রাক চাপায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ দুই জনের মৃত্যু গাইবান্ধায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক রংপুরে পরীক্ষায় নকল: ভিডিও করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর রংপুর সিটি করপোরেশনে মশকনিধনে দেড় কোটি টাকা, তারপরও বাড়ছে উপদ্রব এবার ভারতের ১৫ শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে চীন’ চার নেতা ও গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রস্তাব ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষিতে, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেবীগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দোকানে হামলা, ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৩ লাইভে গুলি করতে প্ররোচনার ঘটনায় বেরোবির প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে ৩ দেশে অর্থ পাচারের তথ্য পেয়েছে দুদক

ডেস্ক নিউজ / ৩৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) সিঙ্গাপুর, লন্ডন, সিডনিতে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন- এমন তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ ছাড়া জালিয়াতি করে জাতীয় পার্টির পদ গ্রহণ এবং মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতে জড়িয়ে বিপুল পরিমাণে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা গেছে, জিএম কাদের ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি মনোনয়নে ১৮.১০ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এই অর্থ গ্রহণের মূল সুবিধাভোগী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করায় প্রফেসর মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে জি এম কাদেরের স্ত্রী শরিফা কাদের সংসদ সদস্য হন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্য ও অর্থ পাচারেরও তথ্য পেয়েছে দুদক।

গোয়েন্দা সূত্রে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি জানতে পেরেছে, জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদবাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন। এসব অর্থ পরবর্তীতে বিদেশে পাচার করা হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে ৬০০- ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পদবাণিজ্যের প্রমাণ বলে মনে করছে দুদক।

এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, লন্ডন, সিডনিতে অর্থ-সম্পদ পাচারা ও দেশে বিপুল পরিমাণে সম্পদ গড়ার তথ্য পেয়েছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব তথ্যের সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ