শিরোনাম
আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছি, চাঁদাবাজও তাড়াব : ফয়জুল করীম সম্ভাব্য তিন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন খামেনি রংপুর শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিখোঁজ দুই কিশোরীকে উদ্ধারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম প্রয়োজনে বিএনপি তিন হাজার আসনেও প্রার্থী দিতে পারবে: হেলেন জেরিন খান বিগত ৩ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইসিসহ অন্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে থাকব: ফখরুল বিএনপি নেতার গুদাম থেকে ১৩৫১৫ কেজি চাল উদ্ধার করল সেনাবাহিনী একদিনে সর্বোচ্চ ৩৫২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, একজনের মৃত্যু ড্র দিয়ে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু করেছে বাংলাদেশ ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

এবার রংপুরের আলু যাচ্ছে মালয়েশিয়া

ডেস্ক নিউজ / ১৪৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

রংপুরে বিভিন্ন জাতের আলু উৎপাদন হয়। এর মধ্যে রয়েছে শানশাইন, স্ট্রিক, সেভেন জাত ও লাল পাকরি। চাহিদা বেশি হওয়ায় লাল পাকরি জাতের আলু দাম তুলনামূলক একটু বেশি। এ জেলার উৎপাদিত আলু নেপাল, সৌদি, দুবাই, হংকং পাঠানো হয়েছে। এবার প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ায় শানশাইন জাতের আলু পাঠানো হচ্ছে। পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে ছোট ছোট বস্তায় ভরা হচ্ছে আলু। সেগুলো আবার ওজন দিয়ে প্যাকেজিং করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য। রংপুরের পীরগাছার পারুল ইউনিয়নের বেলতলীতে সড়কের পাশে দেখা মেলে এ কর্মযজ্ঞের।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন আলু বাছাই করা হয়। আলু বাছাইয়ের কাজ নারী-পুরুষ উভয় শ্রমিকই করে থাকেন। অভিরাম গ্রামের কৃষক ফসিউল আলম ডাবলু বলেন, কয়েক বছর ধরে তিনি বিদেশে আলু পাঠাচ্ছেন। চট্টগ্রামের অ্যাগ্রোকাগরি কমোডিটিজ নামে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে এবার ১৭ টাকা কেজি দরে শানশাইন জাতের আলু তিনি বিক্রি করেছেন। এ আলু ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যাবে। তিনি বলেন, এবার তিনি ৮ একর জমিতে আলুর চাষ করেছেন। যে দরে এখন তিনি আলু রপ্তানি করছেন তাতে উৎপাদন খরচ উঠলেও বেশি লাভ হবে না। দামটা আরেকটু বাড়ানো দরকার।

 

বিরাহিম গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা মোকছেদুল ইসলাম জানান, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি কয়েক বছর ধরে নেপাল, মালয়েশিয়া, সৌদি, দুবাই, হংকং আলু পাঠাচ্ছেন। এবার প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ায় শানশাইন জাতের আলু পাঠানো শুরু করেছেন। তিনি যে পরিমাণ অর্ডার পাচ্ছেন তাতে করে এবার তিনি কমপক্ষে ৩ হাজার টন আলু রপ্তানি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

একই চিত্র দেখা গেছে রংপুরের গংগাচড়া ও মিঠাপুকুর উপজেলায়। এ দুই উপজেলা থেকে আলু যাচ্ছে নেপাল ও দুবাইয়ে। এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছর এ উপজেলায় ৫৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। তবে কৃষকদের দাবি, চাষের পরিমাণ ৬০ হাজার হেক্টরেরও বেশি, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর আলুর দাম বেশি থাকায় অনেক কৃষক এবার অধিক পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করেছেন। বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এ বছর আলুর সংরক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ায় সংকট যেন আরো ঘনীভূত হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদও জানাচ্ছেন কৃষকরা।

সম্প্রতি স্থানীয় বাজার ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি স্ট্রিক জাতের আলু ১০-১২ টাকা, সেভেন জাতের আলু ৮-১০ টাকা এবং লাল পাকরি জাতের আলু ১২-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু উত্তোলনের মৌসুম এখনো পুরোদমে শুরু না হলেও আগাম আলু রপ্তানি শুরু হওয়ায় কৃষকরা আশার আলো দেখছেন।

কৃষকরা বলছেন, আলুর ন্যায্য দাম নিশ্চিতে কোল্ডস্টোরেজের সংরক্ষণ খরচ কমানো, বেশি বেশি রপ্তানির উদ্যোগ এবং স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আফজাল হোসেন বলেন, এবার আলুর ফলন রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে। আলুর উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকা থেকে আলু রপ্তানি শুরু হওয়ায় আমরা আশা করছি কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন। রপ্তানি বৃদ্ধিসহ কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমরা চেষ্টা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ