ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ বলেছেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে কেবল ধর্ষণকারীদের দলের পরিবর্তন হয়েছে। ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদল ধর্ষণের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে বরং এটিকে আরও উৎসাহিত করছে।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় ছাত্রদলের উগ্র, সন্ত্রাসী স্লোগান এবং ছাত্রসংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ছাত্রদলের উগ্র ও সন্ত্রাসী স্লোগান এবং ছাত্রসংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ।
ছাত্রদল সম্পর্কে সিবগাতুল্লাহ বলেন, ‘ডাকসুতে আমাদের নারী প্রার্থীদের অব্যাহতভাবে ট্যাগিং, বুলিং করা হচ্ছে এবং তাদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না।
তিনি বলেন, ‘ধর ধর শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’—এটি কোনো স্লোগান নয়, বরং উগ্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ। গতকাল দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে এ ধরনের সন্ত্রাসী স্লোগান দেওয়া হয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক মিছিলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।’
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য ছাত্রদল নানামুখী অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আদালতকে প্রভাবিত করার জন্য তারা আদালতের সামনে কর্মসূচি পালন করেছে। তবে কোনো ষড়যন্ত্র করেই লাভ হবে না। ডাকসু নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী ও সাহিত্য সম্পাদক ডা. নাঈম তাজওয়ার। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান, মাদ্রাসা সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, প্ল্যানিং এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফসহ মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।