অসুস্থতার কথা বলে কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিকভাবে ছুটি নেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। পরে তাকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম জিয়ারা খাতুন রোজি। তিনি অষ্টমীর ইউনিয়নের চর মুদাফৎ কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং চিলমারী উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চিলমারী উপজেলা পরিষদসংলগ্ন বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি আনন্দ র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় বিএনপির অনুষ্ঠানে শিক্ষক জিয়ারা খাতুন রোজি র্যালির সম্মুখ সারিতে অবস্থান করেন। তিনি বুধবার সকাল ১০টায় অসুস্থতার কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেনের কাছ থেকে মৌখিক ছুটি নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য যে, সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ছুটি নিয়ে রাজনৈতিক বা জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা সরকারি শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। এ ধরনের কাজ সরকারি চাকরিজীবীর নৈপুণ্য ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরকার জানান, শিক্ষক জিয়ারা খাতুন রোজি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আজকের আনন্দ র্যালিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
দলীয় পদে থাকা এবং বিএনপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বীকার করে শিক্ষক জিয়ারা খাতুন রোজি বলেন, স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। যদিও এটি চাকরিবিধি অনুযায়ী ঠিক নয়। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তিনি চাকরি অথবা রাজনীতি যেকোনো একটি বেছে নেবেন বলেও নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ওই শিক্ষিকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক। তার দলীয় পরিচয়ের তালিকা সংগ্রহ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। জেলা অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।