বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

দীঘলকান্দি আশ্রয়ণ প্রকল্প /হস্তান্তরের আগেই আশ্রয়ণের ব্যারাকের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি / ৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হস্তান্তরের আগেই দীঘলকান্দি আশ্রয়ণের ব্যারাকের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন।

অভিযোগ ওঠেছে, গেল বুধবার এই লুটপাটের ঘটন ঘটেছে।  এতে সাবেক মেম্বার মোস্তাফা, মাইদুল, নাজমুল, রাশেদুলসহ বেশ কয়েকজন এই লুটপাটের সাথে জরিত।

স্থানীয়রা জানান, গত বছর আশ্রয়ণটি নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি সঠিক কোন পদক্ষেপ। স্থানীয় কয়েকজন যুবক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা আছে জানিয়ে সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের ঘরের টিন, দরজা, জানালা, এ্যাঙ্গেলসহ বিভিন্ন মালামাল খুলে সরিয়ে নিচ্ছেন। এতে বাধা দিলেই প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে হুমকি দেন তারা।

তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খোদ্দ বাসপাতার এলাকার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অধিনে প্রায় ৭৪৩ মে.টন গমের বরাদ্দে মাটি ভরাট করা শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে কোটি টাকা বরাদ্দে নির্মান করা হয় দীঘলকান্দি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ব্যারাক। ২০টি ব্যারাকে ১শত পরিবারের জন্য নির্মিত আবাসনের কাজ শেষে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে হস্তান্তর করা হলেও প্রায় ৪ বছরেরও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হস্তান্তর করা হয়নি।

আশ্রয়ণের ব্যারাকে আশ্রয় নেয়া ফজল ও তার স্ত্রী জানান, আশ্রয়ণের ব্যারাকে খাইতে বসেছিলাম আর উপর থেকে টিন খুলে নিয়ে যায় ওরা, ভেঙ্গে নেয় দরজা- জানালা, খাওয়াটাও শেষ করতে দেয়নি, লুটের সময় ওদের চোখে ছিল হুমকি নিরুপায় ছিলাম আর এখন খোলা আকাশের নিচেই থাকছি পরিবার নিয়ে।

নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত ফজল জানান, আমি মাছ মেরে সংসার চালাই এই ( দীঘলকান্দি) আশ্রয়ণের ঘরে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছি আর আমি যে ব্যারাকে আছি সেটিও নদী থেকে দুরে কিন্তু কোন কিছু না বলেই স্থানীয় মাইদুল, শাহিনসহ কয়েকজন ব্যারাকের টিন খুলে নেয় এসময় আমি খাইতে বসেছিলাম কিন্তু তারা আমাকে খাওয়ারও সময় দেয় নাই জোড় করে ইউএনও স্যারের কথা বলে চালের টিন, দরজা জানালাসহ খুলে নিয়ে যায়, আমি এখন খোলা আকাশের নিচে বউ ছাওয়া নিয়ে কষ্টে আছি।

ঘটনার সত্যত্বা স্বীকার করে ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এসএম সেলিম বলেন, মাইদুল, নাজমুল, রাশেদুল, সাবেক মেম্বার মোস্তাফাসহ বেশ কয়েকজন এই লুটপাটের সাথে জরিত আর ইউএনও স্যার তাদের কিভাবে ব্যারাকের মালামাল খুলতে অনুমতি দেয় এটি আমার বুজে আসছে না, লুটের সাথে জরিতরা ইতি মধ্যে অফিসের খচরের কথা বলে আশ্রিতদের কাছে টাকাও তুলেছে।

তিনি আরো জানান, আমার কাছে কিছু উদ্ধারকৃত মালামাল জমা আছে আর লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য আমি থানারও অভিযোগ করেছি কিন্তু সেটি আর আগাতে দেননি ইউএনও স্যার।

অভিযুক্ত মাইদুল ইসলাম কে একাধিক বার ফোন দিলে তার (০১৮১৯৫৮৪৪৭৫) নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক জানাম, ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় কয়েকজনকে কারা বসবাস করছে তাদের লিস্ট করতে বলছি কাউকে আশ্রয়নের ঘর ভাঙ্গতে বলিনি, যদি কেউ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ