শেরপুরের নালিতাবাড়িতে নিখোঁজের তিন দিন পর মাইমুনা আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভালুকাকুড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কিশোরী একই গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে এবং কালাপাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাড়ির উঠানে প্রতিবেশী বান্ধবীদের নিয়ে পুতুলের জন্মদিন পালন করছিল। পুতুলকে সাজাতে ফুল আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় মাইমুনা। এরপর থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মাইমুনার সন্ধান না পেয়ে পরদিন নালিতাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তবে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের একটি নীচু ডোবা থেকে পচা দুর্গন্ধ পায় স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় কয়েকজন ডোবায় নেমে কচুরিপানা সরিয়ে দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে ডোবার পানি থেকে স্কুল শিক্ষার্থী মাইমুনার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান তারা।
খবর পেয়ে নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নালিতাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিখোঁজ স্কুল শিক্ষার্থী মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। মরদেহের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এরই মধ্যে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারব।