রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে সেতু থেকে তিস্তা নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর নীরব রায় উৎসের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিস্তা সেতু থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কালমাটি গোবর্ধন এলাকায় তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. বাদশা মাসউদ আলম।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ৭ বন্ধু ঘুরতে আসে গংগাচড়ার মহিপুর দ্বিতীয় তিস্তা সেতু এলাকায়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভিডিও তৈরির জন্য নীরব রায় উৎস ও তার দুই বন্ধু দ্বিতীয় তিস্তা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর দুই বন্ধু নদী থেকে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হয় নীরব রায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল দুইদিন ধরে ঘটনাস্থলসহ আশপাশে অভিযান চালায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আজ সকালে তিস্তা সেতু থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কালমাটি গোবর্ধন এলাকায় তার মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে গংগাচড়ার মহিপুরে আনা হয়। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত নীরব রায় উৎস নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার সদর এলাকার শিক্ষক তপন রায়ের ছেলে। নীরব রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. বাদশা মাসউদ আলম বলেন, নিখোঁজের পর থেকে দুইদিন ধরে আমাদের ডুবুরি দল তল্লাশি চালাচ্ছিল। আজ সোমবার সকালে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর পূর্ব দিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।