নির্বাচনী ইশতেহারে সিগারেট হাতে, সানগ্লাস পরে তোলা ছবি ব্যবহার করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী আশিকুর রহমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া তার পোস্টে লেখা ছিল, ‘ডাকসুতে আগুন লাগাতে চলে আসলাম বন্ধুরা’। একই সঙ্গে তিনি নিজেকে ‘গডফাদারের ওয়ার্কটাইম কনসিলিয়ারি’র মতো কাজ করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
এমন মন্তব্যে কেউ কেউ সাহসিকতা দেখছেন, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন তার বক্তব্য ও অবস্থান ঘিরে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত টকশোতে তিনি এসব নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘সিগারেট দিয়ে যে আমি আগুন লাগাতে চলেছি, এ কথাটি আসলে একটি মেটাফর, মানে রূপক। আমি ইংরেজি বিভাগের ছাত্র, এ ধরনের ভাষার ব্যবহার করাই স্বাভাবিক। এখানে আমি আসলে একটা আমেজ তৈরির চেষ্টা করেছি, যার মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছি, ডাকসুতে নতুন কিছু ঘটাতে চাই।
‘গডফাদারের কনসিলিয়ারি’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কনসিলিয়ারি মানে উপদেষ্টা। আমি নেতা হতে আসিনি। আমার যে ভিপি হবে তাকে আমি স্ট্র্যাটেজিক দিকনির্দেশনা দেব। সে তার মত রাজনীতি করুক।
আমি তাকে বলে দিব এভাবে এভাবে করেন।’
ডাকসুতে দাঁড়িয়েছে সবাই, কিন্তু বসে আছে একজন – এমন বক্তব্যে কেউ কেউ ‘অডাসিটি’ বা সাহসের বিষয়টি টেনে আনেন। এ বিষয়ে আশিকুর বলেন, ‘অডাসিটি থাকাটা তো অপরাধ না। বরং যেই জিএস পদে দাঁড়াবে, তার তো অডাসিটি থাকতেই হবে। সে কি নিস্ক্রিয় থাকবে? তার তো নেতৃত্ব দিতে হবে, কমান্ড করতে হবে।
অডাসিটি না থাকলে সেটা কি সুশীলতা? এত সুশীলতা দিয়ে দেশ চলে না। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইউনূস সরকার।’
আশিকুর আরো বলেন, ‘আমার আদর্শের মধ্যে একজন হলেন হযরত ওমর (রা)। আমি যেকোনো সমস্যার মূল জায়গায় আঘাত করি। কোনো সমস্যা যেন ঘুরেফিরে না আসে, সেটা নিশ্চিত করি। আমি চালিয়ে রাখি না, ফিনিশ করে দিই।’
শিক্ষকদের সঙ্গে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আশিকুর বলেন, ‘আমি আলোচনা করব, নেগোসিয়েশন করব। তাদের যুক্তি শুনব, বলব—আপনি প্রমাণ করুন আপনার দাবি যৌক্তিক, আর আমি বোঝাবো কেন আমার প্রস্তাব ৪ ভাগের মধ্যে ৩ ভাগ হলেও যথেষ্ট। এই আলোচনা হোক যুক্তির ভিত্তিতে।’