সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, দেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবার-পরিজন। আওয়ামী জালিম সরকারের নির্যাতনে তার এক ছেলে মৃত্যুবরণ করেছেন। বড় ছেলে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখন পর্যন্ত লন্ডনে প্রবাসী জীবনযাপন করছেন।
শুক্রবার নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। উপজেলা অডিটোরিয়ামে স্থানীয় বিএনপি এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, জনগণের যেকোনো অধিকার, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে আপস করব না। অতীতেও করিনি, এখনো করব না ইনশাআল্লাহ।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম কার্নায়েন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম এরশাদুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ভিপি জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পুতুলসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বাবর বলেন, দলকে যারা ভালোবাসেন, দলকে যারা পছন্দ করেন, দলের আদর্শ যারা ধারণ করেন, তাদের দলের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে আপনাদের তা মানতে হবে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অনেক কঠিন পথ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে সব বিভেদ ভুলে সংগঠিত থাকবে হবে, ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হলে দলকে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে। এ সহযোগিতা হলো- প্রথমে নিজেরা ঠিক থাকব। নিজেরা অন্যায় কাজ করব না, অন্যকেও করতে দেব না। অন্য কেউ করলে তা জানিয়ে দেওয়া। এরপরও কেউ অন্যায় কাজ করলে তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনারা ভুল বুঝবেন না।
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে এই বলে ধন্যবাদ দেব যে, দেশের প্রতিটি প্রান্তে, কোনায় কোনায় গ্রামে-গঞ্জে দল ও অঙ্গ সংগঠনকে এত বেশি সুসংগঠিত ও সমৃদ্ধ করেছে, যা অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে বিএনপি এখন শক্তিশালী।
নিজের ওপর হওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা বাবর বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ সব রকমের সাজা দিয়েছিল। আপনারা আমার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছেন, রোজা রেখেছেন। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আল্লাহর রহমতে আজ মুক্ত হয়ে আসতে পেরেছি। আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর আন্দোলনের মাঝে টিকে আছি। সেই আন্দোলনের রূপকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।