শিরোনাম
কিশোরগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত  কাউনিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ৭২ শিক্ষার্থী ৬ শিক্ষক–কর্মচারী: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন: নীলফামারীর ঢাবিয়ান শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নীলফামারীতে বিএনপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ এক দিনের রিমান্ডে হরিপুরে অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ উঠেছে পি আই ও অফিস সহায়ক বিষ্ণুর বিরুদ্ধে  কালীগঞ্জে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুরে গ্রেপ্তার ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রকাশ্যে গুলি ভারতে থাকা আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক অফিস বন্ধের আহ্বান বগুড়ায় “ঢাকা বেকারি”তে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযান ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন

নীলফামারীতে কিশোরগঞ্জে এতিমের বরাদ্দের চাল শিক্ষকের পেটে

কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধি / ৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রনচন্ডী বাবুর বাজার নূরানী হাফেজিয়া ও এতিমখানা মাদরাসায় এতিম ও দুস্থ শিশুদের জিআর খয়রাতি চাল বরাদ্দ দেওয়ার পর সেটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে রেজাউল করিম নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এনিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা যায় , ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে এতিম ও দুস্থ শিশুদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে জিআর খয়রাতি চার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে রনচন্ডী বাবুর বাজার নূরানী হাফেজিয়া ও এতিমখানা মাদরাসা এক মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পায়। তবে বরাদ্দ পেলে সেটি এতিম শিক্ষার্থীদের না খাইয়ে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিলারের কাছে গোপনে বিক্রি করেছেন প্রতিষ্ঠানের মোহতামিম হাফেজ রেজাউল করিম । এই ঘটনায় এতিমখানার অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যলয়ের অফিস সহায়ক লিটনের সহায়তায় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এতিমের বরাদ্দের এ চাল বিক্রি করেন ওই শিক্ষক।

মাদরাসার নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এতিম শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের মাদরাসায় খাওয়ার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। এটি গ্রামের ভিতরে হওয়ায় আমরা সবাই এলাকাবাসীর বাড়িতে তিনবেলা খাই। মাদরাসায় কখনো একসঙ্গে হুজুর অনেকগুলো চাল নিয়ে আসেনি আমরা কেউ দেখিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে এতিমের চাল তাদের না খাইয়ে সেটি বিক্রি করে তিনি কি করেছেন আমাদের সেটা জানা নাই। তবে যে বরাদ্দ সরকারিভাবে এতিম শিক্ষার্থীদের খাওয়ার জন্য দিয়েছে তিনি সেটা তাদের না খাইয়ে টাকা তুলে থাকলে সেটা অন্যায় করেছেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রনচন্ডী বাবুর বাজার নূরানী হাফেজিয়া ও এতিমখানা মাদরাসার মোহতারিম হাফেজ রেজাউল করিম বলেন, আমার মাদরাসায় এক টন চালের বরাদ্দ এসেছিলো আমি সেটি ৪০ হাজার টাকায় উপজেলার ডালিম নামে এক চালের ডিলারের কাছে বিক্রি করে মাদরাসার কাজ করেছি। আমার মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং নাই এজন্য সেটা বিক্রি করেছি। আমি আপনার সঙ্গে এবিষয়ে বেশি কথা বলতে চাইনা।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) লতিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ