রংপুরের মিঠাপুকুরে বনদস্যুদের হামলায় গোপালপুর ইকো পার্কের বন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এঘটনায় মারধরের শিকার বন কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মিঠাপুকুর থানায় সরকারি কাজে বাঁধা দান এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে বনদস্যুদের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের অব্যাহত হুমকি এবং ভয়ে নিরাপত্তায় ভুগছেন বনবিট কর্মকর্তা সহ বনপ্রহরীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) গোপালপুর ইকো পার্কের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। এরপূর্বে বুধবার দিবাগত রাতে ইকো পার্কের প্রাচীর ভেঙে বনের গাছ চুরির চেষ্টা প্রতিহত করেন বনরক্ষীরা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বুধবার (১৩ আগষ্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার সময়, স্থানীয় বনদস্যু আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫/৬ জন, ইকো পার্কের প্রাচীর ভেঙে বনের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে বনপ্রহরীরা বনের গাছ কর্তন প্রতিহত করেন। বৃহস্পতিবার ভেঙে ফেলা প্রাচীর সংস্কার করতে গেলে পাকিজা ,আশরাফুল ইসলাম,পারভীন,মত্তুর্জা ,রহিমা বেগম সহ ৫/৬ জন সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেন। রাজমিস্ত্রীর কাছে খবর পেয়ে ইকো পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা, রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অভিযুক্তরা তাকে দেখে এলোপাতাড়ি মারডাং শুরু করেন এবং পাকিজা বেগম,তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রুহুল আমিনকে কোপ দেন। এতে তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। পরে বনরক্ষীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী বন কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, অভিযুক্তরা সকলে চিহ্নিত বনদস্যু। একাধিক মামলার আসামি। বনের গাছকাঠ, চুরি ছিনতাই তাদের পেশা।বনের প্রাচীর ভেঙে অভিযুক্তরা লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমাকে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম রয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে আমি বিভিন্ন সময়ে এদের হামলার শিকার হয়েছি। মামলা করার পর বনবিটে কর্মরত সকলে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। কেউ ইকোপার্কের বাহিরে বের হতে পারছেনা। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হউক।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অপরাধীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।