শিরোনাম
ঢাবিতে বঙ্গবন্ধুর শোক পালনকারী তারকাদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করবে বিক্ষুব্ধরা কোচিং সেন্টারে পাওয়া গেল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক, ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী কুড়িগ্রামে সাব-রেজিস্টারকে হত্যার পর লাশ রাখা হয় কচুরিপানার নিচে মিঠাপুকুরে বনদস্যুদের হামলায় বন কর্মকর্তা আহত টাকার বিনিময়ে তারকাদের শেখ মুজিবকে নিয়ে পোস্ট? জানা গেল আসল সত্য বঙ্গবন্ধুর জন্য মিলাদ করা যাবে না, এরচেয়ে মরে যাওয়া ভালো: কাদের সিদ্দিকী শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ আয়োজন, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ আটক ৩ বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: হান্নান মাসউদ জাতীয় নির্বাচন: অন্তরালে দলগুলোর জোট নিয়ে দৌড়ঝাঁপ ভোট জালিয়াতি করে ২৯৩ আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শেখ মুজিব: তুষার
শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

ভোট জালিয়াতি করে ২৯৩ আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শেখ মুজিব: তুষার

ডেস্ক রিপোর্ট / ১২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

ভোট জালিয়াতি করে ২৯৩ আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শেখ মুজিব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।

শুক্রবার নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘বাহাত্তরের সংবিধান বাংলাদেশে এক অনন্ত জরুরি অবস্থা কায়েম করেছে’ শিরোনামে সারোয়ার তুষার বলেন—বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াতে না পারার সম্পূর্ণ দায় শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। তার করুণ পরিণতির দায়ও একান্তই তার ও তার দলের। তাকে অনেকে পরামর্শ দিয়েছিলেন (যেমন প্রফেসর রাজ্জাক) আপনি যথার্থ স্টেটসম্যানের মতো বিরোধী দলসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলেন।

এনসিপির এই নেতা বলেন—শেখ মুজিব এ ধরনের পরামর্শ বিন্দুমাত্র আমলে নেন নাই। ৭৩ সালে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে ২৯৩ আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। ৭০ সালে পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর জন্য নির্বাচিতদের দিয়ে স্বাধীন দেশে অনির্বাচিত গণপরিষদ বসিয়েছেন। সত্তরের নির্বাচন আওয়ামী লীগ করেছিল ৬ দফার ভিত্তিতে। সেখানে বাহাত্তরের সংবিধানের ওই চার মূলনীতি ছিল না। অথচ স্বাধীন দেশের সংবিধানে ওই চার মূলনীতিই।

আবুল মনসুর আহমদসহ অনেকেই স্পষ্ট করেছেন—ওই চার মূলনীতির জন্য এ অঞ্চলের মানুষ ঐতিহাসিক সংগ্রাম করে নাই।

বাহাত্তরের সংবিধান এমনভাবে ক্ষমতা একব্যক্তি ও দলে কেন্দ্রীভূত করে যে, শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের সব পথ বন্ধ হয়ে যায়৷ ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো সরকারি দলকে বাধ্য করা ছাড়া ক্ষমতা থেকে নামানো যায় নাই। এ কারণে এ দেশে বারবার পজিটিভ অর্থে গণঅভ্যুত্থান, নেগেটিভ অর্থে সেনা অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়।

সারোয়ার বলেন—বাহাত্তরের সংবিধানের ভাবাদর্শিক ক্ষমতা (চার মূলনীতি) এবং কাঠামোগত একব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতা এমন এক একচেটিয়া ক্ষমতা কায়েম করে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে দলীয়করণ করে যে, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে যখন ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতাচ্যুত হয় তখন এক বিরাট ভারসাম্যহীনতা ও শূন্যতা তৈরি হয়।

তিনি বলেন—অথচ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমনকি গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কোনো দলের বিদায় হলে, রাষ্ট্র ঠিকই স্থিতিশীল থাকে। কারণ সেখানে প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সেই জিনিস থাকে না। ফলে প্রত্যেকবার বড় ধরনের পালাবদলের পর বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয় এবং এর সুযোগ নিয়ে এখানে বারবার সামরিক হস্তক্ষেপ হয়।

দেখেন একটা গণঅভ্যুত্থানের পরও কার্যকর সংস্কারের অনিশ্চয়তা ও মীমাংসার অভাবে এখনো আমাদের এক-এগারোর আশঙ্কায় থাকতে হচ্ছে। এমন যে হবে তা বদরুদ্দীন উমর বাহাত্তর সালেই টের পেয়েছিলেন। তিনি তখনই হুঁশিয়ারি করে বলেছিলেন— বাহাত্তরের সংবিধান এক স্থায়ী জরুরি অবস্থা কায়েম করবে। কার্যত তাই হয়েছে। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, কোনো কারণে শেখ মুজিব ক্ষমতাচ্যুত হলে সেই শূন্যস্থানে একমাত্র সংগঠিত শক্তি হিসেবে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করবে। সেটাই হয়েছে।

সারোয়ার তুষার বলেন—বাংলাদেশের সামরিক শাসন ও হস্তক্ষেপের পেছনে বাহাত্তরের সংবিধানের একচেটিয়া ক্ষমতা তন্ত্র এবং তা থেকে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শূন্যতা দায়ী। এই সংবিধানই সামরিক শাসনের পথ প্রশস্ত করেছে। এটাকে বহাল রেখে কোনোভাবেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়া সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানই বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক সংকটের মূলে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার নামে একে টিকিয়ে রেখে বাংলাদেশের সমস্যা দূর হবে না। আওয়ামী লীগের খেলাধুলাও বন্ধ হবে না। আওয়ামী লীগের দেশবিরোধী সন্ত্রাসবাদের অবসান করতে হলে বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান ও রাষ্ট্র অপরিহার্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ