নিয়ম-নীতির বাইরে আড়াই বছর ধরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের দুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে সেখানকার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এতে বিদ্যালয় দুটিতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাহাগিলি কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেবাশীষ রায় এক বছর ধরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ করছেন। একই কাজ প্রায় আড়াই বছর ধরে করছেন উত্তর বড়ভিটা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তাহের।
বাহাগিলি কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুর্বনা আক্তার বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে ৮১ জন শিক্ষার্থী। আর শিক্ষকের পদ ছয়টি। এর মধ্যে শারমীন আক্তার নামের একজন সহকারী শিক্ষিকা নীলফামারীতে পিটিআই ট্রেনিং নিচ্ছেন। আর দেবাশীষ রায় নামের অন্য এক শিক্ষককে উপজেলা শিক্ষা অফিসে নিয়ে গেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
তিনি এক বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এতে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে।’
উত্তর বড়ভিটা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১৮ জন। শিক্ষক সংখ্যা সাতজন।
এর মধ্যে আবু তাহের নামের একজন শিক্ষক আড়াই বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তিনি উপস্থিত না থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। তবে তিনি মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. মোসা. মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘আমার আগের কর্মকর্তা কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেবাশীষ রায় ও উত্তর বড়ভিটা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহের মিয়াকে নিয়ে এসে অফিসের কাজ করাতেন। দাপ্তরিক কোনো আদেশ রয়েছে কি-না, জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, আজ শিক্ষক তাদেরকে নিজ বিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, ‘ডেপুটিশনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষককে এনে অফিসে কাজ করানো নিয়ম বহির্ভূত। এটি মোটেও ঠিক নয়। এ বিষয়ে তদন্ত করে ওই দুই শিক্ষককে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’