দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন সরকারকে মারধর ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাকিনুর রহমানকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার পাকেরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মোস্তাকিনুর রহমান উপজেলার পাকেরহাট জিয়ামাঠ এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, গত ১৮ জুলাই ভোরে নামাজের উদ্দেশ্যে পাকেরহাট জামে মসজিদে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন শরীফ উদ্দিন সরকার। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে তাঁকে দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে গত ৩ আগস্ট তিনি বাড়িতে ফেরেন। ৬ আগস্ট সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই সময় ময়নাতদন্ত করতে পরিবারের আপত্তি থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়।
এই হামলার ঘটনায়, গত ২১ জুলাই শরীফ উদ্দিনের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ শুভ বাদী হয়ে কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন সরকারকে মারধরের মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোস্তাকিনুর রহমানকে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খানসামা উপজেলা বিএনপি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়ার অনুসারী, অন্যপক্ষ সংসদ সদস্য পদে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী। গত ১১ জুলাই থেকে কয়েক দফায় এই দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে মিয়া গ্রুপের নেতা-কর্মীরা দাবি করছেন, কর্নেল গ্রুপের অনুসারীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীফ উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। অপর পক্ষ কর্নেল গ্রুপ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছেন এই ঘটনার সাথে আমাদের কেউ সম্পৃক্ত নয়।