পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কার না হওয়ায় সড়কে ধান রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের সোনাহার বাজার এলাকায় সড়কের বেহাল দশা সম্পর্কে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এ অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে সোনাহার ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে সোনাহার বাজার জামে মসজিদ পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরা এ সড়কটিতে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদায় কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে, ফলে বর্ষাকালে সোনাহার ও দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী, মসজিদের বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এবং সোনাহার ইউনিয়ন ক্লিনিক ও ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা বহু মানুষ।
তাদের অভিযোগ, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সংস্কারের দাবি জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্ষা মৌসুমে সড়কটি আরও কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে, যা শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষের চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
জসিম আলী নামে স্থানীয় এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাই। বৃষ্টি হলে রাস্তাটা এত কাদামাটিতে ভরে যায় যে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অনেক সময় জুতা কাদায় আটকে যায়, কাপড়ও নষ্ট হয়। তাই অনেক দিন স্কুলেও যেতে পারি না।
আলামিন খন্দকার নামে স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বাজারের ক্রেতা, মসজিদের মুসল্লি-সবাই যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তার এমন অবস্থা যে, বৃষ্টি হলে কাদা ও পানিতে হাঁটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমরা বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সংস্কারের জন্য আবেদন করেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে এই সড়কটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। এখন স্টিমেট তৈরির কাজ চলছে, শেষ হলেই আশা করছি দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বরাদ্দ পেলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
রাস্তায় জনসাধারণের ধান রোপণ