শিরোনাম
ভোট জালিয়াতি করে ২৯৩ আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শেখ মুজিব: তুষার নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শিক্ষা অফিসের কাজে নিয়োগ মধ্যরাতে এনসিপির কার্যালয়ের সামনে আবারও ককটেল বিস্ফোরণ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ২৫০ এর অধিক আসন পাবে : দুলু শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার শপথগ্রহণ যুবকের, ভিডিও ভাইরাল কালীগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্মদিনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কিশোরগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হিলিতে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া মাহফিল সিলেটে লুট হওয়া ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে শেখ মুজিব জাতির জনক নন, তবে তার ত্যাগ স্বীকার করি: নাহিদ ইসলাম
শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে রংপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা

রিপোটারের নাম / ২৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে যাচ্ছে রংপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে করে রংপুরের গংগাচড়া, কাউনিয়া এলাকার নিচু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে এবং নিম্নাঞ্চলের শাকসবজি, রোপা আমনসহ বীজতলা তলিয়ে গেছে। এসব উপজেলার কয়েকহাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছেন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং সকাল ৯ টায় ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডালিয়ায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নীলফামারী রংপুর কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পানিতে ডুবে গেছে বসতবাড়ি, গবাদিপশুর চারণভূমি পানিতে ডুবে যাওয়ায় পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে কয়েকহাজার মানুষ পানিবন্দি। বিশেষ করে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী, গজঘন্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন, কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, টেপামধুপুর ইউনিয়ন এবং পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপচরের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে পানিবন্দি মানুষ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

মহিপুর এলাকার বাসিন্দা আব্বাস আলী বলেন, এর আগের দুই বারের বন্যায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা রক্ষণাবেক্ষনে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এবার নদীতে পানি আসা মাত্রই বাঁধের ৭০ মিটার জায়গা ধসে গিয়ে বিশাল গর্ত হয়েছে। অথচ এখনো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো উদ্যোগ চোখে পরেনি। সবকিছু বিলীন হওয়ার পর পরিদর্শনে আসবে তারা, তখন আর করার কিছুই থাকবে না।

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আগের দুইবার বন্যায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু তারা পদক্ষেপ নেয়নি। এবারও প্রবল স্রোত বাঁধে আঘাত হানছে, উজানে আরও বৃষ্টি হলে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। বাঁধ ভেঙে গেলে তখন পানি সরাসরি লালমনিরহাট–রংপুর সড়কে আঘাত করবে, এতে করে কয়েকলাখ মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। পাশাপাশি তিনটি গ্রামের অন্তত দেড় হাজার পরিবার সরাসরি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

গঙ্গাচড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বন্যায় তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজকে সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ