রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলপথ ব্লকেড করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
এ নিয়ে রায়হান, জাকারিয়া হৃদয়সহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে রোববার (১০ আগস্ট) হাটিকুমরুল গোলচত্বরে এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেদিন ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। এর পরও সরকারের কোনো পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া আমরা পাইনি। আজ ৪৮ ঘণ্টা শেষ। বুধবার উল্লাপাড়া স্টেশন এলাকায় রেলপথ ব্লকেড করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আট বছরেও ক্যাম্পাস নির্মিত হয়নি এটা দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা ক্যাম্পাস চাই। ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরব না।
এদিকে রেলপথ অবরোধ করায় উভয় প্রান্তে একাধিক ট্রেন আটকা পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক তপন ঘোষ বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস জামতৈল স্টেশনে ও রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনে আটকা পড়ে আছে। অন্যান্য স্টেশনেও আরও ট্রেন থাকতে পারে।
এর আগে সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক বন্ধ করে নবীনবরণ অনুষ্ঠান পালন করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান অস্থায়ী ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ মহাসড়কেই নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতার বিষয়ে মহাসড়কেই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে অনুষ্ঠিত সেমিনারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা কর্মসূচিতে মহাসড়ক অচল করে দেন শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এরপর ছয় মাসেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে পুনরায় আন্দোলন শুরু হয়।