শিরোনাম
হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রাজু আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পীরগঞ্জে বিডি ক্লিনের উদ্যোগে হাসপাতালের ওয়াসরুম পরিষ্কার ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত প্রেমের টানে দিনাজপুরে আসলেন চীনা যুবক, চলছে বিয়ের প্রস্তুতি বাইকের চাকার কাদা গায়ে লাগায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে মারামারি দুই গ্রামের এনসিপি যেন নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে, জিতে যাবে : মাহবুব কামাল ভারতে আটক হলেন ৫ বাংলাদেশি, নিজেদের আ. লীগ কর্মী ও পুলিশ সদস্য দাবি করলেন গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে কালীগঞ্জে মানববন্ধন ৩ দিনের সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাইবান্ধায় চাকরির জন্য টাকা নেয়ার অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে, চাপের মুখে দিলেন ফেরত
সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

শহীদ মিনার ভেঙে টয়লেট, আওয়ামীপন্থি সেই প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

ডেস্ক নিউজ / ৫৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

যশোরের মনিরামপুরে শহীদ মিনার ভেঙে টয়লেট নির্মাণের অভিযোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি প্রধান শিক্ষকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুশারীকোনা-কামিনীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও তার সহযোগী সুকুমার মল্লিক। এরমধ্য আব্দুর রশিদ দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে, উপজেলার কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একই মাঠে পাশাপাশি অবস্থিত। একই মঠের এক কোণে ৩০ বছর আগে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। এ শহীদ মিনারে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা, স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে আসছেন।

অভিযোগ উঠেছে, গত ১৫ জানুয়ারি কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ শহীদ মিনারটি ভেঙে সেখানে টয়লেট (ওয়াশরুম) নির্মাণের উদ্যোগে নেন। এ ব্যাপারে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাধা দিলেও কোনো কর্ণপাত করা হয়নি। ফলে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ বিরাজ করে। পরবর্তীতে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দুজনের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করা হয়।

মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্নার নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু মোত্তালিব আলম সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন।

এদিকে, বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান বাদী হয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও তার সহযোগী সুকুমার মল্লিককে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মনিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার আবুল বাশার কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সিআর মামলার আসামি। ওয়ারেন্ট পেয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আজ (বুধবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ