শিরোনাম
পীরগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। জনজীবনে অত্যাবশ্যকীয় ৩৩টি ওষুধের দাম কমেছে মাদকের টাকার জন্য ৩ মাসের শিশুকন্যাকে বিক্রি করলেন বাবা দেড় মাস পর বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ফের কয়লা উত্তোলন শুরু পুলিশের প্রিজন ভ্যানেই সিগারেট খেতে দেখা গেলো গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার অন্যতম আসামীকে! স্ত্রীকে মেরে ফেলে ৯৯৯- এ কল দিয়ে স্বামী বললেন ‘আমাকে নিয়ে যান’ ২ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক কাউনিয়ায় তিস্তা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, প্রয়োজনের তুলনায় নেই জিও ব্যাগ রাজধানীর নিউ মার্কেটে সামুরাই, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রের গুদামের সন্ধান নীলফামারীতে মাকে মারধরের দায়ে ছেলের কারাদণ্ড
রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন

রংপুরে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট / ১০১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

রংপুর মহানগরীর দক্ষিণ মুলাটোল এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি নারী কর্মচারী আনজুমান বানু (৬৫) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরমান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃস্পতিবার দুপুরে রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান খান আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরমান আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশি পাহারায় তাঁকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল হাদি বেলাল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আনজুমান বানুর নির্মম হত্যাকাণ্ড সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলাম। আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা ন্যায়বিচারের একটি মাইলফলক এবং আইনের শাসনের প্রতি আস্থার জায়গা আরও মজবুত করবে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার মক্কেল আরমান আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও সেটি ছিল প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেওয়া। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৯ মে রংপুর মহানগরীর দক্ষিণ মুলাটোল এলাকায় নিজ বাসায় আনজুমান বানুকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আনজুমান বানু ছিলেন ভূমি অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। ঘটনার সময় তিনি বাসায় একাই ছিলেন।

পরদিন নিহতের জামাতা এনায়েত হোসেন মহন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আরমান আলী এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং পরবর্তীতে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পাঁচ বছর ধরে চলা এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১২ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

রায় শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড ছিল চরম নির্মম। দোষী ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে পেরে আমরা তৃপ্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও স্বস্তি অনুভব করছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ