বরাদ্দ চাওয়া প্রতীকে সংশোধন এনে আবারও নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রোববার (৩ আগস্ট) ইসি সচিব বরাবর এ আবেদন করেন দলটির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একাত্তরকে জানান, আবেদনে আগের শাপলাসহ কলম ও মোবাইল ফোনের জায়গায় সংশোধনী এনে সাদা শাপলা এবং লাল শাপলা দলীয় প্রতীক হিসেবে চাওয়া হয়েছে।
গত ২২ জুন নির্বাচন কমিশনে আবেদনের সময় এনসিপি শাপলা প্রতীকের পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দের তালিকায় কলম ও মোবাইল ফোন চেয়েছিলো। কিন্তু শাপলা প্রতীকটি জাতীয় প্রতীক বিবেচনায় নিয়ে ইসির প্রতীক তালিকা রাখা হয়নি।
ওই দিন সন্ধ্যায় নাহিদ বলেছিলেন, শাপলা একা জাতীয় প্রতীক নয়। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতীক কাঁঠাল। আবার ধানের শীষও প্রতীক আছে। এগুলো যেহেতু রাজনৈতিক দলের প্রতীক হয়েছে, শাপলাও হতে পারবে।
তার ভাষ্য, শাপলা দেশের জাতীয় ফুল হলেও এই প্রতীক নিয়ে কোনো জটিলতা নেই।
কিন্তু গত ৯ জুলাই নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে জাতীয় প্রতীক ‘শাপলাকে’ ব্যবহার না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। পরে প্রতীক হিসেবে নৌকা বাদ দিয়ে শাপলা তালিকাভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে এনসিপি। ইসি জানায়, নিবন্ধন স্থগিত হলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক আপাতত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচনী প্রতীকের তফসিল থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত প্রতীক তালিকাতেও (নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে) শাপলা প্রতীক হিসেবে রাখা হয়নি।
এদিকে শুধু এনসিপি নয়, দলীয় প্রতীক কেটলির বদলে শাপলা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেছে নাগরিক ঐক্য। দুই জুলাই সিইসির সঙ্গে দেখা করে প্রতীক বদলের আবেদন জানায় দলটি।