শিরোনাম
হ্যান্ডকাফসহ পুলিশের হেফাজত থেকে পালালেন আওয়ামী লীগ নেতা পঙ্গু হাসপাতালে ‘নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ’ অর্ডার দিয়ে যান শেখ হাসিনা পাটগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে একজনের কারাদণ্ড সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের লাশ উদ্ধার রাজধানীতে ৫ আগস্টকে ‘পুলিশ হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে পোস্টার লাগাল ‘জুলাই-আগষ্ট সন্ত্রাসী নির্মুল কমিটি’ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো দেখেই মানুষ রাস্তায় নেমেছিলো, সমন্বয়কদের ডাকে নয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউইয়র্কে জুলাই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ’জয় বাংলা স্লোগান’, বিএনপি-যুবলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া রেললাইনে শিকল পেঁচিয়ে নাশকতার চেষ্টা; হতে পারতো বড় কোনো দুর্ঘটনা! “১০ বছর পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, তখন দেইখ্যা নেব” – ওসিকে ভারতীয় নম্বর থেকে হুমকি
সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

১১ মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছে ১৩ বছরের সোহান

ডেস্ক রিপোর্ট / ৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

মাত্র ১১ মাসে কোরআন মাজিদ মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার তেরো বছর বয়সী মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান। অল্প সময়ে পুরো কোরআন মুখস্থ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করার সাফল্যে আনন্দিত তার সহপাঠী, পরিবারের সদস্য ও শিক্ষকরা।

মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের পূর্ব পোমকাড়া এলাকার সৌদিআরব প্রবাসী মুহাম্মদ সোহেল রানা ও মেরিনা আক্তার দম্পতির ছেলে।

জানা গেছে, মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান কোরআন হিফজ করতে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বারীয়া দরবার শরীফের পীর সুলতানুল ওয়ায়েজীন মোনাজারে আহলে সুন্নাহ বাহরুল উলুম আল্লামা মুফতী ছৈয়্যদ মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা বারী হুজুর প্রতিষ্ঠিত উপজেলার সদর ইউনিয়নের কল্পবাস এলাকায় অবস্থিত মুহিব্বানে রাহমাতুল্লিল আলামিন হাফেজিয়া মাদরাসায় ভর্তি হয়। সেখান থেকেই সে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে। কোরআন হিফজের আগে সে নাজেরা পড়াও কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করে।। এমন ছোট বয়সে কোরআন মুখস্থ করে সোহান এখন ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

হাফেজ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান বলেন, মা-বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে পড়েছি। ভোররাতে আমার সহপাঠীরা যখন ঘুমাতো তখন আমি ঘুম থেকে উঠে একা একা পড়েছি। আমার শিক্ষকরাও আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সকলের দোয়া ও আমার পরিশ্রম আমাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমি আরও পড়াশোনা করে ইসলামের খেদমত করতে চাই।

মাদরাসার প্রধান হাফেজ মুহাম্মদ রবিউল্লাহ সিকদার বলেন, মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান অন্য ছাত্রদের তুলনায় পড়াশোনায় বেশি মনোযোগী ছিল। তাকে যে পড়া দেওয়া হতো তারচে বেশি পড়া সে মুখস্থ করে দিতো। পড়ার প্রতি এতো আগ্রহ দেখে আমরাও তাকে সহযোগিতা করেছি।

তিনি বলেন, সোহান পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে একজন বড় আলেম ও দাঈ হিসেবে ইসলামের খেদমতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে চায়। আমরা তার সাফল্য কামনা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ