ঢাকার সাভারে জুলাই আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিক্ষার্থী আসহাবুল ইয়ামিনকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের (এপিসি) ওপর থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রিলিজ পাঠিয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ শাহীনুর কবির।
প্রেস রিলিজে জানানো হয়, দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এএসআই মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। রোববার সকাল ৬টার দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন মুরাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
গত বছর ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ইয়ামিন শহীদ হন। ওই সময় পুলিশের একটি এপিসির ওপর থেকে তাকে টেনে নিচে ফেলে দেয়ার ভিডিও সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত আশ-হাবুল ইয়ামিন মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন এমআইএসটির ওসমানী হলে। তার গ্রামের বাড়ি সাভারের ব্যাংক টাউন আবাসিক এলাকায়।
ইয়ামিন হত্যার ঘটনার এক বছর পর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে তার পরিবার ও সহপাঠীদের মাঝে। তবে তারা দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।