শিরোনাম
মামলা দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী নেতার বিরুদ্ধে কারাগারে থাকা খালাতো ভাইকে গাঁজা দিতে গিয়ে আটক এক যুবক আজকে একটি পক্ষ আবু সাঈদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করছে : সাদেক কায়েম কাউনিয়ায় পলাশ মেম্বারের কাছ থেকে টাকা ছাড়া মিলে না ভিজিএফ-ভিজিডি কার্ডসহ সরকারি সেবা পঞ্চগড়ে রাস্তার অনিয়ম অস্বীকার; এলজিইডি কর্মকর্তাকে গণপিটুনি রাণীশংকৈলে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ চাঁদাবাজ গ্রেফতার  ফেসবুক লাইভে এসে ঘোষণা দিয়ে রাজনীতি ছাড়লেন বৈষম্যবিরোধী নেত্রী লিজা তারা অনেক বেশি ভোগ বিলাসে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন: সাদিক কায়েম যাদের অ্যানড্রয়েড ফোন কেনার সামর্থ্য ছিল না তাদের হাতে এখন আইফোন : উসমান হাদী কালীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে ছাই, বিপাকে ব্যবসায়ী পরিবার
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি; চাঁদার টাকায় কেনা অপুর মোটরসাইকেল উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপির বাসা থেকে চাঁদাবাজির টাকায় কেনা ইয়াহামা এফজেড-এক্স ব্রান্ডের একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক (সম্প্রতি বহিষ্কৃত ) জানে আলম অপু সম্প্রতি তিন লাখ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলটি কেনে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র বলছে, শুক্রবার অপুর ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলামত পেয়েছে পুলিশ।

এছাড়া অপুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহামাম্মপুরের নবীনগর হাউজিং এর ১ নম্বর রোডের ২১ নম্বর বাসা থেকে চাঁদার টাকায় কেনা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়ামাহা এফজেড-এক্স ব্রান্ডের মোটরসাইকেলটি তিন লাখ সাত হাজার টাকা দিয়ে কেনে অপু।

এর আগে শুক্রবার সকালে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকা থেকে জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অপুর গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ মিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

সূত্র বলছে, গ্রেপ্তারের পর অপুকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তাকে চাঁদাবাজির ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযানে নামে পুলিশ।

ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপুকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় মোট ৬ জন গ্রেপ্তার হলো।

সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।

তিনি আরও বলেন, সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অপু ও তার সহযোগীরা। তারা গত ১৭ জুলাই শাম্মী আহমেদ এর বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। বাসায় থাকা শাম্মীর স্বামীর থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসে। বাকি ৪০ লাখ টাকা আনতে গত ১৯ জুলাই ফের ওই বাসায় যায় কিন্তু টাকা আনতে পারেনি। পরে ২৬ জুলাই আরও লোকজন নিয়ে বাসায় গেলে পুলিশকে খবর দেয় ভুক্তভোগী পরিবার। পুলিশ গিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করলেও পালিয়ে যায় অপু।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চাঁদাবাজির সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।

তিনি আরও বলেন, সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অপু ও তার সহযোগীরা। তারা গত ১৭ জুলাই শাম্মী আহমেদ এর বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। বাসায় থাকা শাম্মীর স্বামীর থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসে। বাকি ৪০ লাখ টাকা আনতে গত ১৯ জুলাই ফের ওই বাসায় যায় কিন্তু টাকা আনতে পারেনি। পরে ২৬ জুলাই আরও লোকজন নিয়ে বাসায় গেলে পুলিশকে খবর দেয় ভুক্তভোগী পরিবার। পুলিশ গিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করলেও পালিয়ে যায় অপু।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে অপু ও রিয়াদ সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের স্বামীর থেকে টাকার ব্যাগ নিচ্ছে। চাঁদাবাজির ঘটনায় গত ২৬ জুলাই ৫ জন গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল অপু। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার থেকে চাঁদার ৫ লাখ টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

অভিযান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপু গ্রেপ্তার এড়াতে বাব বার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। সর্বশেষ গোপীবাগের একটি বাসা থেকে বের হয়ে পাঠাও মোটরসাইকেলে পালানোর চেষ্টাকালে অপুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গুলশানের চাঁদাবাজির ঘটনায় হওয়া মামলার ২ নম্বর আসামি অপু।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১০ লাখ টাকা চাঁদা করে রিয়াদ ও অপু ৫ লাখ করে ভাগ করে নেয়।

থানা সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী আমিনুল ইসলাম।

এদের প্রত্যেককে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে আমিনুল ছাড়া অপর চারজন রিমান্ডে রয়েছেন। রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ৭ দিনের রিমান্ডের পঞ্চম দিন শুক্রবারও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ