নড়াইলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্বববিদ্যালয় (বাউবি)র এইচএসসি পরীক্ষায় অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া ওঠেছে লোহাগড়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি আসাদুজ্জামান বাটুর বিরুদ্ধে। গত ১১ জুলাই লোহাগড়া সরকারি আর্দশ কলেজের বাউবি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে।
সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন বিএনপি নেতা আহাদুজ্জামান বাটু নিজে পরীক্ষা না দিয়ে অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন এমন খবরে সাংবাদিকেরা জড়ো হন। পরীক্ষার আধাঘণ্টা পার হওয়ার পর পরীক্ষা কক্ষের কর্তব্যরত শিক্ষক পীযুষ কান্তি রায় তাকে শনাক্ত করেন। তখন তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে খাতা রেখে তাকে ছেড়ে দেন এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে বাউবি কর্তৃপক্ষকে অবগত করেননি।
পরীক্ষা কক্ষের কর্তব্যরত শিক্ষক পীযুষ কান্তি রায় জানান পরীক্ষার্থী বিএনপি নেতা আহাদুজ্জামান বাটুর পরিবর্তে অন্য একজন ছিলেন। অন্যদিকে, লোহাগড়া সরকারী আদর্শ কলেজের শিক্ষক ও বাউবি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. খায়রুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এদিকে, নানা তালবাহানার পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের চাপে কেন্দ্রের প্রধান ও লোহাগড়া সরকারী
কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেহবার দারাজ অভিযুক্ত বিএনপি নেতার রোল নম্বর প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি এক জনের পরিবর্তে অন্যজনরে পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। ওইদিন আরও দুইজনের পক্ষে ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হলেও ব্য্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার
সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি যে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলাম তিনি ৫ দিন পরে ১৭ জুলাই আমাকে তথ্যটি দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবো এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বাউবির নড়াইল জেলার উপ-পরিচালক মো. মতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, সকল প্রকার কাগজ পত্র কেন্দ্রে জমা আছে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লোহাগড়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটুর সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি দোষ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ওই দিন আমি অসুস্থতাজিনিত কারণে পরীক্ষা দিতে পারিনি, ঢাকাতে অবস্থান করছিলাম। আমার সঙ্গে কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারে। এ সময় তিনি কাউকে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে পাঠাননি বলে দাবি করেন।