শিরোনাম
দু’দলের একই স্থানে সমাবেশ; এনসিপির ‘বারবার’ অনুরোধের প্রেক্ষিতে সমাবেশস্থল পাল্টাল ছাত্রদল তিস্তার পানি কমলেও প্লাবিত লালমনিরহাটের ১৫ গ্রাম, ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপাড়ায় হামলার ঘটনায় ৫ জন গ্রেপ্তার কালীগঞ্জে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী খয়ের জামালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সকাল থেকে কমছে তিস্তার পানি, স্বস্তি ফিরেছে নদীপাড়ে চাঁদপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার ম্যানহোলে পড়ে মারা যাওয়া তাসনিমের দাফন সম্পন্ন; তাসনিমের যমজ দুই শিশুর কান্নায় ভারি হয়েছে পরিবেশ রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প : পেরু, ইকুয়েডর, চীনে সুনামি সতর্কতা মনোনয়ন না দিলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার কনসার্টের জন্য অনুদান ৭৬ লাখ টাকা চেয়ে ৭০ প্রতিষ্ঠানকে সাবেক সমন্বয়কের চিঠি
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০১:০০ অপরাহ্ন

গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপাড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, শুরু হয়েছে ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর / ৩৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল এ তথ্য জানান।

এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে হিন্দুপাড়ার ঘর মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে প্রশাসন রয়েছে। ঘটনাস্থলে থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গতকাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রংপুরের জেলা প্রশাসক। এদিন তিনি জানান, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২টি পরিবারের মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আটক রঞ্জন কুমার রায় এবং তার চাচার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার স্বার্থে পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে।

এ বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আবু সাইম জানান, হামলার ঘটনায় মোট ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে ২২টি পরিবার বসবাস করত। রঞ্জন আটক হওয়ার পর থেকেই তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। তবে বাকি ১৯টি পরিবারের পুরুষ সদস্যরা নিজ বাড়িতে আছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্তকরণ শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয়ে পুলিশ ও প্রশাসন সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ