নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিইউপি-৪ এর আওয়তায় ২০২৪- ২৫ অর্থ বছরের স্লিপ, রুটিন মেইনন্টেন্যান্স ও ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ শেষ না হলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে টাকা শিক্ষা কর্মকর্তার হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি বরাদ্দের টাকা জুনের মধ্যে খরচের বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেটি মানা হয়নি।৷ প্রায় সব বিদ্যালয়ে মেরামত, স্লিপ, রুটিন মেইনটেইন্সের কাজ শেষ হলেও কয়েকটি বিদ্যালয়ের এখন কাজ শেষ হয়নি। কাজ না করেও কীভাবে শিক্ষা কর্মকর্তার হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা হল, সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিবি-৪) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্লিপের বারাদ্দের দ্বিতীয় কিস্তি প্রায় ২৮লাখ , ৩৫ টি বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনন্টেন্যান্সের প্রায় ১৪ লাখ ও ওয়াশব্লকের রুটিন মেইন্টেন্যান্স, ক্ষুদ্র মেরামতের এর জন্য ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০২৪ সালের এ বরাদ্দ দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, বরাদ্দের টাকা অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে ব্যয় করার বিধান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মেরামত করা হয়নি। জুন ক্লোজিংয়ের সময় তড়িঘড়ি করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার হিসাবে স্থানান্তর করা হয়েছে। জুলাই মাসের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশ বিদ্যালয়ে মেরামত কাজ হয়নি। কাজ না করে এভাবে কর্মকর্তার হিসাবে টাকা স্থানান্তর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ম্যাডাম নিজ একাউন্টে টাকা রাখার কারনে কাজ শেষ করেও আমরা বিল পাচ্ছি না। এখন স্লিপ, রুটিন মেইনন্টেন্যাস জন্য টাকা না দিলে বিল দিচ্ছে না। আমাদের কিছু করার নাই।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. মোসা. মাহমুদ বলেন, পজেটিভ নিউজ হলে আমি মতামত দিব আর নেভেটিভ হলে মতামত দেয়ার মানা আছে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের এমনকি ইউএনও স্যারও মানা করে দিয়েছেন তাই আমি কোন মতামত দিতে পারব না। আর এটি আমার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা আছে এসব বিষয় তাদের। আমাদের পক্ষ থেকে এ রকম কোন কিছু বলা হয়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, জুনের পর টাকা রাখা যদিও নিয়মের মধ্যে পড়ে না, বিদ্যালয়গুলোতে হয়তো এখন কাজ ঠিকমতো করতে পারেনি। মতামত প্রদানের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, কি থেকে কি বলে এজন্য উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মতামত দেয়া যাবে না।