শিরোনাম
গুলশানে চাঁদাবাজি; গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের দুই কেন্দ্রীয় নেতা, বৈষম্যবিরোধী থেকে ৩ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার ফ্রান্সসহ ইউরোপের ৩ দেশে কমিটি দিল এনসিপি রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে যুবক আটক সৈয়দপুরে চব্বিশ দিনে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনঃ আসামী গ্রেফতার। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করলে বৈষম্যবিরোধীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন কাদের সিদ্দিকী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির নির্বাচনমুখী সাধারণ সভা চাঁদা দাবি করা হয় ১ কোটি, ১০ লাখ নেওয়ার পর আটকে গেলেন সমন্বয়কসহ ৫ এনসিপি সরকার গঠন করলে ৬৪ জেলায় চাকরির ব্যবস্থা করব : নাসীরুদ্দীন সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, হাতেনাতে ৫ জন গ্রেপ্তার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিত
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধায় বিয়েবাড়িতে সাবান-স্নো না থাকায় নারীদের তর্কযুদ্ধ; বরপক্ষকে আটকে রাখার অভিযোগ

স্থানীয় রিপোর্ট / ২৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

বিয়েবাড়ির আয়োজন চূড়ান্ত। বরপক্ষ গেট পার হয়েছে এক হাজার টাকা দিয়ে। রান্না হয়েছে বিরিয়ানি, গরুর মাংস, মাছভাজা, ডিম, পায়েস—সবই প্রস্তুত। এমনকি বরকে উপহার দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ডিসকভার বাইকও। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে একেবারে অপ্রত্যাশিত জায়গায়—সাবান, স্নো, পাউডার না থাকা নিয়ে!

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের খামার পাঁচগাছি গ্রামে ঘটে এমন ঘটনা। কনে ও বরপক্ষের নারীদের মধ্যে শুরু হয় উত্তপ্ত তর্ক। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় ব্যাপক বিবাদে। শেষমেশ বরপক্ষ বিয়ে না করেই ফিরে যেতে চাইলে কনেপক্ষ তাদের আটকে দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খামার পাঁচগাছির আনারুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে সর্বানন্দ ইউনিয়নের খানাবাড়ি এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে ইউনুস আলীর বিয়ে ঠিক হয়। বরপক্ষের প্রায় শতাধিক অতিথির জন্য কনের পরিবার সব আয়োজন সম্পন্ন করে। বরকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় ডিসকভার বাইক।

রাতে বরযাত্রীরা কনের বাড়িতে এসে গেটে এক হাজার টাকা দিয়ে প্রবেশ করেন। পরে বরপক্ষের নারীরা কনের ঘরে গিয়ে উপহারসামগ্রী হিসেবে কিছু কসমেটিকস দেন। কিন্তু সাবান, স্নো ও পাউডার না থাকায় ক্ষুব্ধ হন কনেপক্ষের নারীরা। শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে বরপক্ষ বিয়ে না করেই চলে যেতে চাইলে তাদের আটকে রাখা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটক বলেন, ‘সাবান না থাকায় মেয়েপক্ষ আপত্তি তোলে। কিন্তু ছেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা তো এসব চায়নি। পরে মোটরসাইকেল নেওয়া নিয়েও কথা ওঠে। এরপরই তারা বিয়ে না করেই ফিরে যেতে চায়।’

কনের খালু অভিযোগ করে বলেন, ‘কসমেটিকসের প্যাকেট নিয়ে বরপক্ষের এক নারী পা দিয়ে লাথি মারে। এরপর আমরা তাদের সারারাত আটকে রাখি।

বরের বড় ভাই আবু সাঈদ বলেন, ‘আমাদের অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। পরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উপস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে বিয়েতে রাজি হয়েছেন কনেপক্ষ। তবে তারা এখন আর কোনো উপহারও নিচ্ছেন না।’

ছাপড়হাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি মেম্বার) মো. মজনু মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষের ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সালিশে সমাধান হয়েছে। আজ বিয়ে সম্পন্ন হবে।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে সর্বানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সমাধান হয়েছে। আমরা বিয়ে পড়িয়ে, খেয়ে-দেয়ে চলে যাব।’

তবে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন আর কোনো বিয়েবাড়িতে না ঘটে। কারণ, এসব ঘটনা শুধু ব্যক্তি নয়, সমাজের সুনামকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ