রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা শিশু আয়মানকে শরীয়তপুরে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বাদ এশা ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রামে তাকে তার দাদার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
শিশু আয়মান (১০) উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার বাপ্পি হাওলাদারের বড় মেয়ে। পরিবারসহ ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় বসবাস করছিল আয়মান।
গত সোমবার (২১ জুলাই) প্রতিদিনের মতো আয়মান স্কুলে ক্লাসে অংশ নিচ্ছিল। দুপুরের দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। এই দুর্ঘটনায় ক্লাসে থাকা আয়মানসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বিস্ফোরণ ও আগুনে তার শরীরের প্রায় ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। চারদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শুক্রবার সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আয়মান।
আয়মানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণপুরে নেমে আসে শোকের ছায়া। এলাকার মানুষ প্রিয় শিশুটির মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়ে।
আয়মানের চাচা মাহাতাজ হাওলাদার বলেন, আমার ভাতিজি সেদিন ক্লাসে বসে ছিল, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ও বিস্ফোরণে ঝলসে যায়। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমাদের আদরের আয়মানকে আর বাঁচানো গেলো না। আমরা শুধু চাই, এমন মৃত্যু আর কোনো পরিবারকে দেখতে না হয়।